বাংলা টেলিভিশনের জগতে জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রীর নাম হল অরিজিতা মুখোপাধ্যায়। বেশ কিছু জনপ্রিয় ধারাবাহিকে তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। তাকে বেশিরভাগ সময়ই দাপটে খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছে দর্শক। তবে শুধু ছোট পর্দায় নয় থিয়েটারের মঞ্চ থেকে শুরু করে বড় পর্দা এবং ওয়েব সিরিজেও তিনি দাপিয়ে অভিনয় করে যাচ্ছেন। তবে এই মুহূর্তে এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে দেখা যাচ্ছে জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে।
সবে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিকের নায়িকা পর্ণার চরিত্রে অভিনয় করছে অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা যিনি স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে আপন কে পর থেকে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। এবং নায়ক সৃজনের চরিত্রে অভিনয় করছে যমুনা ঢাকির মুখ্য অভিনেতা রুবেল দাস। সিরিয়ালে সৃজনের চরিত্রটি হলো একেবারে মায়ের বাধ্য ছেলে। যাকে চলতি কথাই বলতে গেলে বলা চলে, ‘মাম্মাজ় বয়’।
তাই ধারাবাহিকে মায়ের কথায় শেষ কথা এমনটাই মেনে চলে সৃজন। এমনকি মা কোন ভুল করলেও তার চোখে সেটাই ঠিক। তবে বাস্তবে দেখতে গেলে সৃজন কিন্তু সাধারণ জীবন থেকে উঠে আসা একটি আসল চরিত্র। বাস্তব জীবনে যেসব ছেলের বিয়ের পরেও মায়ের আচল ধরে চলে তাদের বউয়ের কপালে যে অশেষ দুর্গতি রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। আর এই বিষয়টিকেই ফুটিয়ে তোলা হবে ধারাবাহিকে।
এইজন্য নিম ফুলের মধু সিরিয়ালের নায়ক নায়িকা ছাড়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে রয়েছেন অরিজিতা অর্থাৎ যিনি সৃজনের মা কৃষ্ণ চরিত্রটি করছেন। এই অভিনেত্রী সব সময়ই স্পষ্টবাদী। তাই সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলের তরফে অভিনেত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তিনি নিজে এই ‘মাম্মাজ় বয়’দের ঠিক কোন চোখে দেখেন?
উত্তরে অভিনেত্রীর সপাট জবাব ‘আমি অবিবাহিত। কিন্তু সত্যিই যদি এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় কখনও, তা হলে আমি কথা বলে পরিস্থিতি সামলানোর আপ্রাণ চেষ্টা করব’। সেইসাথে অরিজিতা বলেছেন তিনি জানতে চাইবেন, মায়ের ছেলের প্রতি আসক্তি এবং ছেলের মাকে অন্ধের মতো সাপোর্ট করার ইতিহাসটা। আর তারপরেই দুজনের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই অবসেশনের জায়গা কমানোর চেষ্টা করবেন।
অভিনেত্রীর কথায় মা-ছেলের এই মাত্রাতিরিক্ত আসক্তির বিষয়টা অনেক পুরোনো। এক্ষেত্রে তিনি উদাহরণ দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথের চোখের বালির। তাই অরিজিতা বলেছেন, ‘আমার ধারণা ‘নিম ফুলের মধু’কে মানুষের বুঝতে একটু সময় লাগবে। কিন্তু একবার যদি মানুষ বুঝে যায়, এই সিরিয়াল সমাজে পরিবর্তন ঘটাতে পারবে। এই ধারাবাহিক লম্বা রেসের ঘোড়া।’