সিরিয়াল ছাড়াও এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় যে অনুষ্ঠানগুলি দর্শকদের ব্যাপক প্রশংসা এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে তার মধ্যে তালিকায় প্রথমেই নাম লিখিয়েছে জি বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান। বিকেল হলেই বাঙালি বউরা সে কর্মরত হোক বা গৃহবধূই হোক না কেন সকলে মিলে একসঙ্গে টিভির সামনে বসে পড়ে দিদিদের খেলা দেখতে।
দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে যেমন তারকারা আসে তেমন সাধারণ বাড়ির গৃহবধূরাও আসে তাদের নানা লড়াইয়ের গল্প শুনিয়ে মানুষকে উদ্দীপিত করতে। প্রচুর আড্ডা, গল্প এবং তার সঙ্গে চলে বিভিন্ন মজার খেলা।
তবে বাঙালি দর্শকদের কাছে সব থেকে বড় পাওনা হলো দিদি নাম্বার ওয়ান হিসেবে সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জিকে পাওয়া। একটা দীর্ঘ সময় তিনি বাঙালি দর্শক এবং অন্যান্য ভাষার দর্শকদের বিভিন্ন হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। তার নামেই এখন তার পরিচয়। তবুও এই মুহূর্তে রচনা ব্যানার্জি বললেই অধিকাংশ বাঙ্গালীদের মাথায় আসে একটাই নাম দিদি নাম্বার ওয়ান।
শুধুমাত্র দর্শকদের মুখে মুখে নয় বরং টিআরপিতেও বারবার খেল দেখায় দিদি নাম্বার ওয়ান। আর ব্যবসায়ী দিক থেকে বলতে গেলে এই টিআরপি বাংলা টেলিভিশনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর ওপরেই নির্ভর করে যে কোন চ্যানেলের ব্যবসা এবং লাভ। ফোনে চ্যানেল নির্মাতারা এবং অনুষ্ঠানের নির্মাতারা অবশ্যই টিআরপি দেখবে যাতে তাদের লাভ হয়।
তবে দিন কয়েক আগেই এই শো নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বসেন বেহালার এক বাসিন্দা। ওই ব্যক্তি নিজেকে দিদি নম্বর ১-এর এক প্রতিযোগির প্রাক্তন স্বামী বলে দাবি করে বলেন ‘টিআরপি’ বাড়াতে বাংলার মহিলাদের নিয়ে নানা ধরনের ভুয়ো নাটক বন্ধ করা হোক। কখনও স্বামীর অত্যাচারে ঘরছাড়া, তো কখন শ্বশুরবাড়ির লোকের হাতে অপদস্থ হওয়া মহিলারাও যান খেলতে এবং খেলার মধ্যে দিয়ে তাদের জীবনের নানা অজানা কাহিনী, অন্ধকার কাহিনী তুলে ধরেন রচনার সামনে। ওই প্রতিযোগী দাবি করলেন মহিলাদের যে কথাগুলো বলা হয় তার পেছনে অনেক পুরুষদের না বলা কাহিনী থাকে এবার সেগুলো তুলে ধরা হোক। তাহলে তেল আর জল আলাদা হয়ে যাবে।
এই বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুললেন রচনা। এক সাক্ষাৎকারে ‘দিদি নম্বর ১’-এর সঞ্চালিকা বলেন, ‘এটা একদমই নয়। ১১ বছর ধরে এই শো চলছে। চারটে করে মেয়ে অংশ নিচ্ছে। সবার কাহিনি, সবার চোখের জল এটা মিথ্যা? হাজার হাজার মেয়ে অংশ নিয়েছে, সবাই তো আর অ্যাক্টিং জানে না। সবাই বানিয়ে কথা বলে?