আর পাঁচটা মেয়ের মতোই সকলের সামনে খুব সাদামাটা একটা মেয়ে এই ‘জগদ্ধাত্রী’। তবে লেখক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর গল্পে এই সাধারণ মেয়েই অসাধারণ হয়ে উঠবে। কিভাবে? সেই গল্প নিয়েই এসেছে ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেরা বাংলা সিরিয়ালের তকমা পেয়েছে ‘জগদ্ধাত্রী’। শুরু এই গল্প নায়িকার অ্যাকশনধর্মী প্লট নিয়েই চলছে। নায়িকা জগদ্ধাত্রী জ্যাজ় হয়ে দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালন করছে। আর তাই সকল বয়সী দর্শকদের কাছেই এই ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’ একটু বেশি প্রিয় হয়ে উঠেছে।
বিগত কয়েক সপ্তাহে কখনও ৮-এর কম হয়নি ‘জগদ্ধাত্রী’র স্কোর। টিআরপি তালিকায় রমরমিয়ে চলেছে ‘জগদ্ধাত্রী’। আর এটা সম্ভব হয়েছে কেবল নায়িকার অ্যাকশনের কারণে, তেমনটাই মনে করছেন দর্শক। উল্লেখ্য, সিরিয়ালে জ্যাজ়, অর্থাৎ জগদ্ধাত্রীর চরিত্রে অভিনয় করছেন অঙ্কিতা মল্লিক। কেবল সংলাপ বলা নয়, মুখভঙ্গীর কৌশল কিংবা চোখার ভাষা নয়, অঙ্কিতাকে রীতিমতো অ্যাকশন করতে দেখা গিয়েছে এই ধারাবাহিকে। বর্তমানে সিরিয়ালে তাঁর দুটি রূপ – একটি, সে বাড়ির বউ ও অন্যটি, পরিচয় গুপ্ত রাখা ‘জ্যাজ়’।
যারা ধারাবাহিকটি দেখেন তারা জানেন, একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে জগদ্ধার্থীর জা কৌশিকী মুখার্জিকে মারতে গিয়ে তার ছোট্ট মেয়ে কাঁকনের গায়ে গুলি লাগে। যেখানে কৌশিকীর দিকে গুলি করলেও নিজের মাকে বাঁচানোর জন্য কাঁকন সেখানে উপস্থিত হয়। কৌশিকীকে করা গুলি কাঁকনের বুকে এসে লাগে, আর সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কাঁকন। তারপরেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে কাকন।
হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে এখন কিছুটা সুস্থ কাঁকন। এখন এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে জগদ্ধার্থী। আসল অপরাধীকে শাস্তি দিতে মরিয়া জ্যাস ওরফে জগদ্ধাত্রী। এই কেসে জেরার জন্য দিব্যা সেনকে নিয়ে আসা হয়। জগদ্ধাত্রীকে জ্যাস রুপে দেখে অবাক হয়ে যান দিব্যা। দিব্যা সেনকে জগদ্ধাত্রী প্রশ্ন করেন ‘আপনি এত বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন অনেক কড়া সিকিউরিটি ছিল নিশ্চয়ই?’ উত্তরে দিব্যা জানায়, “নিশ্চয়ই ছিল এত নামিদামি লোক এসেছিল”। সঙ্গে সঙ্গে জগদ্ধাত্রীর পাল্টা প্রশ্ন ‘তা টার্গেটটা কে ছিল? কৌশিকী মুখার্জি নাকি সমরেশ মুখোপাধ্যায়?’
প্রসঙ্গত দিব্যা সেন এবং কৌশিকীর কাকা দুজনে মিলে কৌশিকীকে মারার জন্যই এই চক্রান্ত করেছিল। পরবর্তী পর্বের প্রোমোতে এবার জানা যায়, জগদ্ধার্থী বোনের স্বামী উৎসবের ঘর তল্লাশি করে। এবং সেখান থেকে একটি জুতো জোড়া পায়। জগদ্ধার্থী সেই জুতো ফরেনসিক পাঠানোর কথা বলে। এরপরই হয়তো সমস্ত সত্য সামনে আসবে। আসল দোষীকে পেয়ে জগদ্ধাত্রী কি শাস্তি দেবে তাই এবার দেখার বিষয়।