আন্দামানের নীল সাগর থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত, সবই হুবহু যেন এক। শুধু মানুষ দু’জন আলাদা। স্বাভাবিকভাবেই নেটপাড়ায় গুঞ্জনতো উঠবেই। যথারীতি ‘আয় তবে সহচরী’র ইন্দ্রনীল চৌধুরী ও খড়ির দিদি শ্রীমা ভট্টাচার্যের মধ্যে প্রেমের আবহাওয়া খুঁজে পেয়েছেন নেট নাগরিক। আর পাবে নাই বা কেন! চলতি বছরের প্রথম দিকেই বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যেই হোক বা একটু একান্তে সময় কাটাতে, দুই টেলি তারকার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে উপছে পড়ছে একের পর ভ্যাকেশনের ছবি।
দু’জনেই ঘুরতে গিয়েছেন আন্দামানে। কিন্তু ছবির প্রত্যেকটা ব্যাকগ্রাউন্ড স্পট কাকতালীয়ভাবে এক। শ্রীমা আর ইন্দ্রনীল কি নেটনাগরিকদের এতটাই বোকা ভেবেছেন! বরং তাঁদের শকুনের চোখ। স্বাভাবিকভাবেই দু’জনের মধ্যে প্রেমের হাওয়া লেগেছে বলে দাবি তাঁদের অনুগামীদের।
View this post on Instagram
যদিও তাঁদের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে একসঙ্গে একটিও ছবি দেখা যায়নি। কিন্তু যেখানেই ধোঁয়া সেখানেই আগুন। সেই আগুনের খোঁজে একটি সুপরিচিত মিডিয়াহাউস থেকে যোগাযোগ করা হয় পাত্র ধিঙ্গির স্যান্ডো কুমারের সঙ্গে। প্রেমের প্রশ্ন অবধি যাওয়াতো দূর, শ্রীমাকে শুধুমাত্র চেনা-জানার পরিসরেই আটকে রেখেছেন। এমনকী শ্রীমার আন্দামানে যাওয়ার খবরও তিনি জানেন বলেই দাবি করেছেন কিন্তু একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার প্রসঙ্গকে সরাসরি খারিজ করেছেন। বরং নিজের আন্দামান ট্রিপকে ‘সোলো ট্রিপ’ বলেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই সোলো ট্রিপে তা হলে এতগুলো ছবি কেইবা তুলে দিলেন ইন্দ্রনীলকে? তাতেও উত্তর সঙ্গে সঙ্গে রেডি। অভিনেতার দাবি গাইডই তাঁকে সব ছবি তুলে দিয়েছেন।
ট্রিপের কথা উঠলে সে বিষয়ে আরও নানা কথা জানাতে রাজি অভিনেতা কিন্তু ভুলেও শ্রীমার উল্লেখটুকু পাওয়া যায়নি তাঁর কোনও গল্পে। যা কিছু হয়ে যাক, এখনও অবধি নিজেকে সিঙ্গল বলেই দাবি করছেন অভিনেতা। তবে সব কিছু মেনে নিলেও, দিনের পর দিন ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নানা ধরনের কমেন্ট দেখে কি সত্যিই শ্রীমাকে শুধু ‘চিনি’ বলেই এড়িয়ে যাওয়া যায়! বোধহয় যায় না। তাই তাঁদের নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন আপাতত টেলিগসিপের অন্যতম টপিক।
View this post on Instagram