সম্প্রতি সময়ে ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় এখন শ্বেতা ভট্টাচার্যের নামটা খুবই পরিচিত। ছোট পর্দার একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী থেকে এখন তিনি বড়পর্দারও পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। তার প্রথম ছবি ‘প্রজাপতি’ রমরমিয়ে চলছে প্রেক্ষাগৃহে। প্রথমবার বড়পর্দায় দেব, মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে একসাথে স্ক্রীন শেয়ার করেছেন শ্বেতা। এই অভিজ্ঞতা ঠিক কতটা বড় তার জন্য তা বারবার বলেছেন অভিনেত্রী।
কিন্তু এই সাফল্যটা কিন্তু একদিনে আসেনি। কতটা ঝড় ঝাপটা পেরিয়ে অভিনেত্রী এসেছেন সে কথাও সম্প্রতি এক ডিজিটাল মাধ্যমকে জানিয়েছেন। কিছুদিন আগে ‘প্রজাপতি’ মুক্তি পাওয়ার ২৫ দিন পূর্ণ হল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত খুব ভালো ফল করেছে এই ছবিটি। বড় পর্দায় শ্বেতার প্রথম ছবি যার সাফল্য এত বড় তা সত্যিই অভিনেত্রীর কাছে অনেক বড় পাওনা এমনটাই বললেন শ্বেতা।
প্রসঙ্গত তিনি ছোট পর্দার খুব পরিচিত একটি মুখ। বহুদিন ধরে জনপ্রিয় সব ধারাবাহিকে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছেন। যেমন ‘জরোয়ার ঝুমকো’,’যমুনা ঢাকি’, ‘কনক কাঁকন’,’সিঁদুর খেলা’ প্রভৃতি। সবকটি ধারাবাহিকেই শ্বেতাকে দারুন জনপ্রিয়তা দিয়েছে দর্শক। বর্তমানে তাকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে জি বাংলার আরও একটি নতুন ধারাবাহিক ‘সোহাগ জলে’।
কিন্তু সেই সবকিছুর মধ্যে থেকে তার প্রথম ছবি ‘প্রজাপতি’ কেমন ছিল? কেমন ছিল এত তাবড় তাবড় অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা। প্রসঙ্গত শ্বেতা এদিন বলেন তার ছোট পর্দার কাজের জন্য তিনি বহু জায়গায় সিনেমার প্রচারে যেতে পারেননি কিন্তু তাকে পরিচালক এবং সিনেমা কর্তৃপক্ষ অনেকভাবে সাহায্য করেছে।
কিন্তু অভিনেত্রী এখন যে সাফল্য পেয়েছেন সেই সাফল্য কি সত্যিই খুব সহজে এসেছে তার কাছে? না তা ঠিক নয়। শ্বেতার কথায়, জীবনে সকলের কষ্ট, দুঃখ ,আনন্দ সুখ সবকিছুই থাকে তারও রয়েছে। অনেক ঝড় ঝাপটা পেরিয়ে তিনি আজ এই জায়গায় এসেছেন। এদিন তিনি জানান তার দাদার মৃত্যুর পর তার বাবা-মায়ের দায়িত্ব শুধুই তার। তাই তিনি জীবনে কখনোই হেরে যান না। তিনি যদি কখনো হেরে যান তাহলে তার সাথে সাথে তার বাবা মা হেরে যাবে। জীবনের কষ্ট দুঃখ নিয়ে এদিন তিনি আর কিছু বলেননি। তবে তার জীবনটা যে খুব একটা সহজ ছিল না সে কথা তার অল্প কিছু কথাতেই ফুটে উঠেছে।