চার বছর পর বড় পর্দায় নিজের চমক নিয়ে হাজির কিং খান। বিশাল বড় বাজেটের একটি বাণিজ্যিক সিনেমা। বুধবার সকাল থেকেই সিনেমার প্রত্যেকটি হল হাউসফুল। এমনকী SRK এর ছবি নিয়ে হয়েছে মিছিলও। পোস্টারে পোস্টারে মালা পরানো।
আসলে তাঁর অনুগামীদের কাছে ভগবানের থেকে কম কিছু নন তিনি। কিন্তু ভগবান বলে যা খুশি দাবি করবেন? এমনটাই কার্যত হল বাংলা সিনেমার সঙ্গে। ব্যান্দ্রার অফিসে বসে পথানের টিম বাংলার ওপর একপ্রকার গায়ের জোর দেখাল।
একে টলিউডের প্রত্যেকে এই নিয়ে সরব হচ্ছেন। পরিচালক, প্রযোজকের পর এবার সরব হলেন অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য্য। মূলত পাঠানের টিমের দাবি, সিঙ্গল স্ক্রিনে স্ক্রিনিং হবে পাঠান। খুব বড়জোর সেই হলে অন্য আর একটি সিনেমা চলতে পারে। কিন্তু প্রাইমটাইমে চলতে হবে পাঠানকে।
বিশেষ কোনও প্রতিবাদ না করে এক এক করে হলগুলি থেকে তুলে নেওয়া হয় পাঠান। কিন্তু এতে আদতে টান পড়বে বাংলার ভাঁড়ারেই। গত বছর বড় দিনে ‘প্রজাপতি ‘ পেলেও এখনও অবধি বেশ ভালো ব্যবসা করছিল সিনেমাটি। এছাড়াও কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ‘ কাবেরী অন্তর্ধান ‘ সহ আরও অনেক সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।
সেই সিনেমাগুলি হাউসফুল হওয়া সত্বেও তুলে নেওয়া হয়েছে হল থেকে। কৌশিক গঙ্গপাধ্যায়ের পর এবার ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিনেতা সাহেব। মঙ্গলবার রাতে অভিনেতা তাঁর ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করেন।
তাতে কয়েকটি স্পষ্ট দাবি রাখেন অভিনেতা। প্রথম দাবি রাখেন, সারা দেশ জুড়ে পাঠান সাত হাজার হলে মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু বাংলা সিনেমা মুক্তি পায় মাত্র ৩০ টি হলে। সেখান থেকেও ২৫ টা হলে সিনেমা তুলে নিলে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি কীকরে ব্যবসা করবে?
এছাড়াও তিনি জানান, এই ‘ দাদাগিরি ‘ একমাত্র বাংলাতেই সম্ভব। কখনই দক্ষিণের দেশগুলি বা পাঞ্জাব মহারাষ্ট্রে এরকম জোর দেখাতে পারবে না বলিউড। এর কারণ বাঙালিরা নিজেই। প্রতিবাদের ভাষা ভুলে গিয়েছেন বাঙালিরা।
আর সর্বশেষ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সরকারের বিরুদ্ধে। টাকা চুরি, চাকরি চুরি, শিল্পে রাজনৈতিক অত্যাচার সব মেনে নিতে হয়েছে। এবার তাহলে হকের জায়গা দখল হতে দেখাও মেনে নিতে হবে? সরকারের চুপ করে থাকা ও অন্যান্য অত্যাচার বাংলা থেকে শিল্পকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।