ইদানিং বাংলা টেলিভিশনে নতুন নতুন সিরিয়ালের যে জোয়ার সেই জোয়ারে গা ভাসিয়ে হারিয়ে গেছে বেশ কিছু জনপ্রিয় তারকা। কেউ কেউ প্রথম কাজের মধ্য দিয়েই নিজের প্রতিভার পরিচয় দেখিয়ে একের পর এক কাজ পাচ্ছে আবার কাউকে অকালে হারিয়ে যেতে হয়েছে টেলিভিশন দুনিয়া থেকে।
অনেক তারককে আমরা দেখতে পেয়েছি যারা বেশ কিছু প্রথম সারির সিরিয়ালের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করলেও পরবর্তীকালে আর তাদেরকে দেখা যাচ্ছে না কোন সিরিয়ালেই। হয় তারা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিচ্ছে অভিনয় আর তা না হলে তাদের বাধ্য করা হচ্ছে অভিনয় জগত থেকে দূরে যেতে। আজ আমরা যে অভিনেত্রীর কথা বলব তিনিও এমনই এক অভিনেত্রী যিনি বিশাল জনপ্রিয় টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে।
কথা বলবো তিনি যমুনা ঢাকির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। জি বাংলা সিরিয়াল যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই। যে অভিনেত্রীর কথা আমরা বলব তিনি শুধু এই সিরিয়ালেই নয় আরও অনেক সিরিয়ালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করলেও বর্তমানে আর কোথাও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না তাকে। তবে ছোট থেকেই তার কাজ যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে দর্শকদের মাঝে।
বুঝতে পারলেন আমরা কোন নায়িকার কথা বলছি? তিনি হলেন ধারাবাহিকের বেশ বিখ্যাত নাম চাঁদনী সাহা। বিখ্যাত হবেন নাই বা কেন! একের পর এক হিট ধারাবাহিক তার ঝুলিতে আছে। ২০১১ সালে প্রথমবার ‘বিন্দি’ ধারাবাহিকের হাত ধরে এসেছিলেন ছোট পর্দায়। তারপর ১০ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন টেলি জগতে।
‘যমুনা ঢাকি’-র ‘ গীত’, স্টার জলসার ‘মাধবীলতা ‘ – র চাঁদনী এইসব চরিত্র তার ঝুলিতে রয়েছে। কিন্তু এত বছরের অভিনয়ের পরও এখন নিজের পেশা ও সখ পাল্টে ফেললেন অভিনেত্রী চাঁদনী। বরং তাকে দেখা গেল অন্য অবতারে।
তাকে ইদানিং দেখা যাচ্ছে বইমেলাতে একটি বই হাতে। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, নিজের লেখা একটি বই এবারের বইমেলায় প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। আর তাই নিয়ে আপাতত বেশ ব্যস্ত এবং উত্তেজিতও রয়েছেন। তিনি একটি কবিতার বই লিখেছেন। বইটির নাম ‘ তিন সত্যি ‘। রোদরং প্রকাশনা থেকে বইটি প্রকাশিত হয়েছে।
বইটি সম্পর্কে বলার সময় তিনি সবার আগে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, রোদরং প্রকাশনার লেখক ও সম্পাদন তাঁর বন্ধুসম শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়কে। এরপর তিনি তাঁর এই বইয়ের জগৎ ও তাঁর এই বই লেখা এই বিষয়ক নানা কথা ভাগ করে নেন। তিনি জানান, তাঁর অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল তাঁর কিছু লেখা যাতে নির্দ্বিধায় সকলের সামনে আসে। আর তাঁর এই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই লেখক চাঁদনী এতে ভীষণ খুশি। নিজের ভাবনা, চিন্তা, উপলব্ধি এই সব কিছুর মিশ্রণ ঘটিয়েছেন তিনি তাঁর বইতে। তবে তাঁর লেখা বইটি অন্য কারোর ভাবনায় কতটা ভালো লাগবে, বইটি লেখক ও পাঠক মহলে ঠিক কতটা সাড়া ফেলবে সেইসব নিয়ে বেশ চিন্তিতই রয়েছেন।