টলিউডের হার্টথ্রব তিনি। একটি নয়, একাধিক কারণে তাঁকে চিনে নেওয়া যায়। প্রথমত বয়স যেন তাঁর কাছে অধরা। যেমন অপরূপ সুন্দরী তেমনই তাঁর শরীরি আবেদন আর অভিনয়! সেই বিষয়ে আলাদা করে কিছু বলতে বাঙালিকে আর লাগে না।
টলিউড ছেড়ে বলিউডেও নিজের জাদু করে যাচ্ছেন অভিনেত্রী। তবে শুধু এইসব কারণেই নয়। সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখাতে বড্ড ওস্তাদ এই অভিনেত্রী। নিয়মের বাইরে স্রোতের বিপরীতে যেতেই পছন্দ করেন। হিসেব মতো চল্লিশোর্ধ বয়স হতে যাচ্ছে তাঁর। সেই অনুযায়ী পরিবর্তন এসেছে শারীরিক গঠনে।
তবে তিনি সেলিব্রিটি হওয়ার পাশাপাশি একজন সমাজ সচেতন মানুষ। সমাজে মেয়েদের হয়ে তিনি একাই একশ জনের সমান কথা বলেন। যেমন স্পষ্ট বক্তা তিনি তেমনই তাঁর রূপের ছটা। কোনও বাঁধনে বেঁধে রাখেন না নিজেকে। লম্বা চুল চুটকিতে কেটে রোনাল্ডোর মতো বয়কাট করে ফেলতে পারেন। বডি শেমিং থেকে স্লাট শেমিংকে তিনি বুড়ো আঙুল দেখাতে পারেন।
তেমনই বুড়ো আংগুল দেখাতে পারেন রাজনীতিকেও। যেখানে তাঁর পরিচিতি বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে পুরো ভারতেই। সেখানে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়া মুখের কথা নয়। কিন্তু তাই করে দেখলেন অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত এই ভ্যা’লেন্টাইন্স উইক এলেই কেন্দ্রীয় সরকার থেকে প্রত্যেকবারই বেশ কিছু বক্তব্য উঠে আসে। এবারে বক্তব্য তাদের যে এইসব পাশ্চাত্য সমাজের নিয়মে না মেনে আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতির পবিত্র অবদানে জড়িয়ে থাকা গরুকেই “হাগ” অর্থাৎ আলিঙ্গন করা উচিত।
আর এই প্রসঙ্গেই খুব টেঁড়া হয়ে অভিনেত্রী জানান, “কেউ আমাকে বলতে পারবে গরু-মোষ জ’ড়িয়ে ধরার বিষয়ে কী হচ্ছে আমাকে বলবেন? আসলে আমার ওদের খুব মিষ্টি লাগে, বিশেষ করে ওদের চোখ।”