ছোট পর্দার সব থেকে বড় গুণ হল সেগুলি খুব তাড়াতাড়ি মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারে। আসলে বাংলা ধারাবাহিকগুলো কোনওদিন শুধুই একটা প্রোগ্রাম হয় থাকেনি। সেগুলি বরাবরই মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে পেরেছে। হয়তো সবকটি ধারাবাহিক সমান ভাবে নয়। কিন্তু একটি ধারাবাহিক এক একরকম ভাবে সাড়া ফেলেছে। তেমনই তার বেশ কিছু চরিত্র।
সেই চরিত্রগুলো কখনই শুধুমাত্র একটা ধারাবাহিকের চরিত্র হয়ে থাকেনি। সেগুলো হয়ে উঠেছিল পরিবারের অংশ। আর এই থেকেই তো দর্শকদের ভালোবাসা, টান তৈরি হয়ে যায়। সেই চরিত্রগুলোর বিপদে দর্শকরা ভগবানকে ডাকেন। আবার আনন্দে নিজেরা হেসে ওঠেন।
যেমন বাংলা দর্শকদের মনে জায়গা করে নিতে পেরেছে মিঠাই। মিঠাই ধারাবাহিকটি এখন অনেকটা শেষের পর্যায়ে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার পরেও মিঠাই চরিত্রটি বার বার ফিরে আসছে বিভিন্ন প্রসঙ্গে।
এমনকী এক টানা টি আর পি লিস্টের শীর্ষে থাকার রেকর্ড গড়েছে এই ধারাবাহিকটি। মিঠাইয়ের দুর্ঘটনার পর ধারাবাহিকে মিঠিকে আনা হয়। এমনিতেই এই মিঠিকে নিয়ে প্রথমে দর্শকদের বেশ ক্ষোভ ছিল। বার বার প্রমোতে মিঠিকে মিঠাই ভাবিয়ে প্রথমে নাকি বিব্রত করা হচ্ছিল।
পরে যদিও মিঠাই ফিরে আসে। তাতেও একটা ত্রিকোণ প্রেমের গন্ধ উঠে আসে। তাতেও একটু আপত্তি দেখায় দর্শকরা। কারণ এতদিনে শক্যকে বেশ ভালোবেসে আপন করে নিয়েছিল মিঠি। কিন্তু অবশেষে মিঠাই ফিরে এসেছে।
আর এইবারে হাত ছাড়া হতে দিতে চাইছে না দর্শকরা। কিন্তু তাঁর মাঝেও গত বছরের ১৯ তারিখের মতোই এবছর ১৯ তারিখ আশাহত হলেন দর্শকরা। মিঠাই আর সিদ্ধার্থ এক হল না। কিন্তু এর মাঝে দর্শকদের রাগ “ঠাম্মি”-র ওপর।
কারণ ঠাম্মি চান সিডের বিয়ে মিঠির সঙ্গেই হোক। কিন্তু এত দিনের অপেক্ষার পর যেন এটা আর দেখতেই পারছেন না। একজন অনুরাগী তাই ফেসবুকে লিখেই দিলেন, “কে বলবে ঠাম্মির বয়স ৮০ হয়েছে। নাতির বিয় নিয়ে এত লাফালাফি করছেন যেন নিজের বিয়ে!”