সোহাগের জল বা পরকীয়ার জল এইসব তর্ক এখন অতীত। জি বাংলার এই ধারাবাহিকের এখন একটাই টপিক, বেণী বৌদি। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেদার ট্রল হচ্ছে সোহাগ জলের আদরের বেণী বৌদি। শুধু ট্রল নয়, “সেরা বৌদি” খেতাবও জিতে নিয়েছেন। আর হবে নাই বা কেন! রাতের দিকে স্লট বলে বেশ রাতের জমকালো প্লটও তৈরি করছেন নির্মাতারা। বিধবা বেণী বৌদি একের পর এক যা কীর্তি ঘটাচ্ছে তাতে তো লোকে এত কথা বলবেই। বরাবরই নোংরা জিনিসে মাছি একটু বেশি বসে।
এক হাতে দুই ঠাকুরপোকে সামলাচ্ছে বেণী বৌদি। একি আর চারটেখনি কথা! যেমনটা আমরা জানি, শুভ্র ঠাকুরপোর প্রতি বেণী বৌদির দুর্বলতা একটু বেশিই। তাই যখন তখন রাত বিরেতে গল্পের ফাঁদ পেতে বসে। আবার শুভ্রর বউয়ের অপছন্দ হওয়া সত্বেও বারবার সিগারেট এগিয়ে দেয়। আরও কত ধরনের সব ট্রিকস। যদিও শুভ্র খুব স্পষ্টভাবেই বুঝিয়ে দেয় যে তাঁর বৌদির প্রতি বিন্দুমাত্র কোনও টান নেই।
কিন্তু চুক্তির খাতিরে হলেও শুভ্রের নিজের বউ জুঁইয়ের প্রতি একটা টান তৈরি হতে থাকে। জুঁইও সেটা ভালোমতো বোঝে। কিন্তু জুঁইও নিরুপায়। শর্ত মিটে যাওয়ায় নিজের অনিচ্ছা সত্বেও সেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল জুঁইকে। পড়ে যদিও শ্বাশুড়ির শরীর খারাপের জন্য সেই বাড়িতে থেকে যায়। কিন্তু তাঁর থেকে যাওয়াতে বরং আরও লাভ হয়েছে। কারণ বেণী বৌদি করেছে অন্য ছল ছাতুরি।
বিধবা বৌদি প্রেগ’ন্যান্ট হয়ে পড়ে। পেটে কার বাচ্চা আছে বেণী বৌদির? এই নিয়ে আরও এক মহা ধুমধাম করে প্ল্যানিং করেছে বৌদি। আর যেন পন করেছে ফাঁসিয়েই ছাড়বে শুভ্রকে। শুভ্রের হাত থেকে জোর করে সিঁদুর পরেছে বেণী বৌদি। আর দাবি করছে যে এই বাচ্চা তাঁর। এমনকী বেণী বৌদি বাড়ি শুদ্ধু সবাইকে বলে তাঁকে বরণ করে নিতে।
কারণ তাঁর পেটে নাকি শুভ্রের বাচ্চা। আর এই কথাটা জোর গলায় প্রমাণ করতে চাইছেন তিনি।
জুঁই এত কিছুর মাঝেও কিন্তু শুভ্রের ওপর বিশ্বাস সরায়নি। সে জানে এই কঠিন মুহূর্তে শুভ্রের জুঁইকে দরকার। কিন্তু এসবের মাঝে বেশ ভালোই মজা নিচ্ছেন একজন। সে আর কেউ নয়, শুভ্রের জ্যাঠতুতো দাদা সাম্যের বাচ্চা।
তাঁর সঙ্গেই পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন বেণী বৌদি। কিন্তু সাম্যের বউতো এসব কিছুই জানেনা। বরং কারোর সর্বনাশ তো কারোর পৌষমাসের মতো ফুর্তি করছেন। কিন্তু আসলে সর্বনাশটা যে তাঁরই সেই সম্পর্কে ধারণাই নেই। এবার দর্শকরাও অপেক্ষা করছে, যেদিন সে জানতে পারবে বেণী বৌদির পেটে ওর বরেরই বাচ্চা সেদিন যে ধাক্কাটা খবর সেইটা নিতে পারবে তো?