টলিউড কিন্তু বেশ ভালো মতোই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আঞ্চলিক হওয়ার বাঁধা কাটিয়ে তাঁরা জাতীয় স্তরে উঠতে চাইছেন। সাউথ যদিও এটা অনেকদিন আগেই করে ফেলেছে। তবে ধীরে ধীরে হলেও বাংলা সেদিকেই এগোচ্ছে। আর জানা যাচ্ছে এখনও অবধি বাংলার সবথেকে বেশি বাজেটের সিনেমা, “অভিযাত্রী” (Abhijatri) আসতে চলেছে। এই নিয়ে অনেকরকম কানাঘুষো কথাবার্তা ও তর্ক – বিতর্কও হয়ে গিয়েছে।
সিনেমাটি পরিচালনা করছেন প্রচলক শুভজিৎ মিত্র। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের “দেবী চৌধুরাণী” উপন্যাসকে ভিত্তি করে সিনেমাটি তৈরি করা হচ্ছে। প্রায় পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে এই সিনেমাটির প্রি- প্রোডাকশনের কাজ করা হয়েছিল।
স্বাভাবিকভাবেই বেশ তাবড় কিছু নিয়ে হাজির হতে দেখা যাবে বলেই জানা যাচ্ছে। আর এখানে এবার জুটি গড়ে উঠবে শ্রাবন্তী – প্রসেনজিতের। হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন ডাকাত রাণীর গুরু ভবানী পাঠকের ভূমিকায় দেখা যাবে টলিউডের অন্যতম স্টার বুম্বা দাকে এবং দেবী চৌধুরাণী চরিত্রেই দেখা যাবে শ্রাবন্তীকে।
তবে চমক এখানেই শেষ নয়, জানা যাচ্ছে ভিকি কৌশল থাকবেন এই সিনেমায়। আর এই নিয়ে বেশ ভালো মতোই জল্পনা হচ্ছে, কারণ ভিকি কৌশলের বাবা শ্যাম কৌশল এই সিনেমার অ্যাকশন ডিরেক্টর। তিনিই বাজিরাও মাস্তানিরও অ্যাকশন ডিরেক্টর। আর এই প্রথম তিনি বাংলা সিনেমায় কাজ করছেন। তাই জানা যাচ্ছে ছেলে ভিকি কৌশলকেউ বিশেষ ভূমিকায় দেখা যাবে।
বাংলা ভাষার পাশাপাশি হিন্দিতেও এই সিনেমা ডাব হওয়ার কথা। আর জানা যাচ্ছে বেশ ভালো মতো অ্যাকশন থাকবে এই সিনেমাটিতে। এক সঙ্গে ব্রিটিশ দমন, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, গরীবদের ওপর অত্যাচার সবই দেখানো হবে। এছাড়াও এই সিনেমা এই সিনেমা নিয়ে বেশ ভালো মতো বিতর্ক হয়ে গিয়েছে অন্য একটি চরিত্র নিয়ে।
সিনেমায় বিনোদিনী চরিত্রে দেখা যাবে দেবের বান্ধবী ও অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রকে।কিছুদিন আগেই সেই চরিত্রের লুক প্রকাশ করা হয়েছে। আর তখনই শ্রীলেখা মিত্র লিখেছেন, “এত রোগা কি বিনোদিনী ছিলেন?” আর ব্যস এরপর থেকেই বিতর্কের শুরু হয়।
প্রযোজক অরিত্র এই বিষয়ে অনেক মন্তব্যই করেছেন। বহু উদাহরণ টেনে বলেছেন, কাস্টিং এর সঙ্গে আসল চরিত্রের মিল থাকেনা। তাবলে সেগুলো কি সফল হয়নি! এই হলে তিনি দীনেন গুপ্তর ছবিতে দেবশ্রী রায় এবং গুলজারের ধারাবাহিক ‘তেরাহ পানহে’-তে হেমা মালিনীর উদাহরণ দিয়েছেন।
তবে এসব কটাক্ষের মাঝেও খুব স্পষ্ট করেই একটি সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা মিত্র জানিয়েছেন যে, আজকাল ফেসবুকে যেন কিছুই লেখা যায় না। সমালোচনা ও অপমানের মধ্যে পার্থক্য ভুলে গিয়েছেন আজকালকার লোকেরা। পোস্টের নীচে রুক্মিণীকে শুভেচ্ছা বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি কিন্তু সেটা কেউ লক্ষ্য করেনি। বরং তিনি বলেছেন যে তাঁর মতে অভিনেত্রী অনন্যা চট্টোপাধ্যায়কে বেশ ভালো মানিয়ে যেত।