শাহরুখ খান শুধু ভারতবর্ষের নয়, গোটা বিশ্বজুড়ে একটা নাম। যে নামটা টলি – বলি – হলি সব জুড়ে থাকে। শাহরুখ খান নিজেই এত বড় একটা নাম হয়ে গিয়েছেন যে তাঁর সঙ্গে জড়িত ছোট থেকে ছোট সব কিছু ভীষণ বড় হয়ে দাঁড়ায়। তাঁর ছোটবেলার জীবন থেকে শুরু আজকেরও ওই মন্যতে দাঁড়িয়ে হাজারও ফ্যানদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়ানো। সবটাই একটা ব্র্যান্ড, সবই একটা নাম।
সেই নামে বহুবার কাদা ছোড়ার চেষ্টা হয়েছে। ছেলে মেয়ে, জাত ধর্ম বহু বিষয় টেনে এনে বার বার সেটাকে ছোট করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনিতো শাহরুখ খান। শুধু কি অভিনয়? তাঁর ব্যক্তিত্ব, তাঁর জীবন যাপন, তাঁর অসাধারণ কাম ব্যাক, সব কিছুকে নিয়েই তিনি শাহরুখ। শাহরুখের সঙ্গে যে একটা ছবি তুলতে পারে সেও তখন ছোটখাট সুপার স্টার। কিন্তু সেই শাহরুখের সঙ্গেই খুব কাছ থেকে জড়িয়ে একটা নাম।
বহুকাল আড়ালে থেকেছে সেই নাম। তবে কিং খানের ছোট ছেলে আব্রাহামের ৬ বছরের জন্মদিনে প্রথম দেখা যায় তাঁকে। আর তিনি কেউ নন, শাহরুখ খানের নিজের দিদি। শাহরুখ খানের নিজের বোন হওয়া সত্বেও কোনওদিন কোনওভাবে লাইমলাইটে আসেননি তিনি। এমনকী সেভাবে ধরাও দেননি ক্যামেরার কাছে। কিন্তু কেন? কিছু কি অস্বাভাবিকতা আছে?
যা জানতে চলেছেন তাঁর জন্য হয়তো আপনার প্রস্তুত নন। সত্যিই মানুষের জীবন কতটা বৈচিত্রময়। বলিউডের শেষ সুপার স্টার শাহরুখ খানের বোন তিনি। তাও যেন জীবনের অর্ধেক কিছু হাতছানি দিয়ে বসে আছেন। খুব ছোট বয়সে বাবাকে হারান তাঁরা। তারপরই যেন জীবনটা ওলোট পালোট হয়ে যায় তাঁদের।
শাহরুখ খান সেই সময় পরিবারের শক্ত খুঁটি হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। আর তাঁর বোন তখন তত বেশি হতাশায় ভুগছেন। শাহরুখ খানের ক্যারিয়ারের অন্যতম প্রধান সিনেমা দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে যখন শ্যুট হচ্ছে তখন তাঁর বোনের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। যে সময় তিনি, তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম গানের শ্যুট করছেন তখন তাঁর দিদি হাসপাতালে।
ক্রমশ হতাশায় ভুগতে ভুগতে নাকি একসময় ডাক্তারাও হাত গুটিয়ে নিয়েছিলেন। তাঁরা জানিয়ে দিয়েছিলেন আর বাঁচানো যাবে না তাঁকে। কিন্তু কোনওভাবে ঘুরে দাঁড়ায় পরিস্থিতি। তবে পুরোপুরি ঠিক কোনও দিনও হয়নি। শাহরুখ খান নিজেই একবার জানিয়েছিলেন, তাঁর দিদি টানা দু বছর কোনও কথা বলেননি, যোগাযোগ করেননি। শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতেন। যেন সব হতাশা তাঁকে গ্রাস করে নিচ্ছে। কিন্তু তাঁকে খুব যত্নে আগলে রেখেছে গোটা পরিবার। সব মিলিয়েই যে একটা পরিবার, সেটা যে বার বার বোঝা যায়, তার আরও এক নিদর্শন হল কিং খানের পরিবার।