অনবরত মিঠাই-এর চাহিদার তাগিদে নির্মাতারা মিঠাইকে ফের ধারাবাহিকে নিয়ে আসে। আর তারপরই আরও বেশি ধারাবাহিকের প্রতি উৎসাহিত হয়ে পরে দর্শক। একদিকে মিঠাই ফিরে আসার খুশি, অন্যদিকে মিঠি ভক্তরা চিন্তায় পরে যায়। মিঠাই-এর এন্ট্রি হয়তো মিঠির বিদায় নিশ্চিত করল, এমনই ভয় করেছিল সকলে।
এবার সেই ভয়ই সত্যি হল। মিঠাই ফিরে এলেও প্রথমদিকে মিঠাই সব ভুলে গিয়েছিল ,আর তাই সিড সর্বদা চেষ্টা করে চলেছিল, যাতে মিঠাই সমস্ত স্মৃতি ফিরে পায়। আর সেই কাজে সিডের পাশে ছিল মিঠি। মিঠি যদি না থাকত হয়তো এতো শীঘ্র মিঠাই-এর স্মৃতি ফিরত না। আমরা জানি, ধারাবাহিকে মিঠাই-এর মৃত্যুর পর মিঠির আগমন হয়। আর এই মিঠিকে দেখতে হুবহু মিঠাই-এর মতোই।
প্রথমদিকে দর্শকদের মনে হয়, মিঠিই মিঠাই। কিন্তু পরে জানতে পারে মিঠি অন্য একজন। তারপর পরিস্থিতির চাপে মিঠিকে বিবাহ করতে বাধ্য হয় সিড। পাশাপাশি দুষ্টু- মিষ্টি মেয়ে মিঠির অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছিল অনেকেই। কিন্তু এরপরও মিঠাই-এর চাহিদা কমেনি। আর সেই চাহিদার চাপে পরেই লেখিকা ফের মিঠাইকে ধারাবাহিকে আনতে বাধ্য হয়।
মিঠাই-এর স্মৃতি ফেরাতে মিঠাই-এর জন্মদিনে মিঠি মিঠাই সাজে। মিঠাই-এর যাতে মনে পরে তাই মিঠাই-এর মতো অভিনয়ও করে মিঠি। আর তারপরই ধীরে ধীরে মনে পরে মিঠাই-এর পুরোনো স্মৃতি। অনেক দর্শক ভাবেন, মিঠি হয়তো এবার মিঠাই-সিডের মাঝে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। তবে তা হয় না। মিঠি মিঠাইকে সব সত্যি জানায় ও মিঠাই-সিডের মিল করিয়ে দেয়। দর্শকরা ভেবেছিল মিঠি-মিঠাই হয়তো এবার একসঙ্গে থাকবে। কিন্তু লেখিকা গল্পে অন্যকিছুই লিখে রেখেছিল।
মিঠি চলে গেল মোদক পরিবারকে ছেড়ে। যে পরিবার, শাক্যকে এতদিন আগলে রেখেছিল। সেই পরিবারকেই এবার মিঠাইকে ফিরিয়ে দিয়ে খুশিমুখে বিদায় নিল মিঠি। যা দেখে আবেগঘন হয়ে পড়েছে মিঠি ভক্তরা। এক ভক্ত একটি পোস্টে লেখেন, “পৃথিবীর নিয়ম ই এটা, কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়। মিঠাই ফিরে পেল তার সুখ শান্তি পরিবার সব। মনোহরা ফিরে পেল তার প্রান,, কিন্তু তাঁর জন্য বলিদান হলো মিঠি। শাক্য বাড়ি ফিরে এলো। কিন্তু মিঠি আসেনি। ক্যামেরা কিনে ঘুরতে যাওয়ার নাম করে মনোহরা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিল।”