অঙ্কিতা মল্লিক থুড়ি জগদ্ধাত্রী। জি বাংলা এবং স্টার জলসা দুই চ্যানেলের দর্শকই তার রূপ এবং অভিনয় দক্ষতায় ফিদা হয়েছে তার প্রতি। তার উপরে প্রতি সপ্তাহে লাগাতার টিআরপি দিয়ে চলেছে জগদ্ধাত্রী। কুছ তো বাত হ্যায়। সত্যি বলতে অঙ্কিতা মল্লিক একেবারে নবাগত নায়িকা। কিন্তু জগদ্ধাত্রীতে একেবারে মুখ্য চরিত্রে তার যে অভিনয় সেটা দেখে কেউ সেটা বলতে পারবে না।
জি বাংলার মতন নামিদামি চ্যানেলে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়ের সুযোগ পাওয়া সহজ কথা নয়। তবে অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন অঙ্কিতা মল্লিক। এমনকি তার অভিনয়ের জাদুতে এখন শুধু বাংলা নয় বাংলাদেশ ফিদা। আসলে তিনি বাংলাদেশের মেয়ে। তবে এখন অভিনয়ের সূত্রে কলকাতাতে থাকেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে বাংলাদেশেও তার অজস্র ভক্ত যে রয়েছে সেটা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারীক জ্যাস সান্যাল নিজে শ্বশুরবাড়িতে নিজের আসল পরিচয় গোপন করে জগদ্ধাত্রী হয়ে উঠেছে। কিন্তু তাকে সন্দেহ করে শ্বশুরবাড়ির সবাই। যদিও সম্প্রতি তার আসল রূপ ফাঁস হয়েছে সবার সামনে। আর এতে সবাই চমকে গেছে, নিজেদের বাড়ির বৌমার এই ক্ষমতায়। শশুর বাড়ির সব কটা ক্রিমিনালকে নিজের হাতে ধরেছে সে। এমনকি তার প্রাক্তন প্রেমিক আর বর্তমানে সম্পর্কের খাতিরে তার দেওর উৎসবকে ছাড়েনি সে।
সম্প্রতি অপরাজিতা আঢ্য তার অনুষ্ঠান ‘ঘরে ঘরে জি বাংলা’ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন অঙ্কিতার বাড়িতে। সেখানে অভিনেত্রীর বাড়ির লোকের কাছে সঞ্চারিকা জানতে চান যে অঙ্কিতা কি বাড়িতেও রণমূর্তি ধারণ করে মাঝে মাঝে? বাড়ির এক প্রবীণ সদস্য জানান একেবারেই নয় বরং ঠিক তার উল্টো। ছোট থেকেই বেশ শান্তশিষ্ট স্বভাব তার। তবে জ্যাসকে ভয় পেলেও জগদ্ধাত্রীকে ভালো না বেসে থাকতে পারা যায় না। তবে বিশেষভাবে কেউ কি তাকে ভালোবাসে বাস্তবে?
এই সূত্রে এমন একটা বিষয় জানতে পারা গেল যেটা শুনে অবাক লাগবে আপনাদের। অঙ্কিতা জানান তাকে দেখলে সবাই ভয় পায়। অঙ্কিতার আত্মীয় নিজেও এই কথাটাই স্বীকার করেছেন। কিন্তু এটা অনেকেই বলছে বাড়িয়ে চড়িয়ে কথা বলেছেন তিনি।