জি বাংলার এই মুহূর্তে সবথেকে জনপ্রিয় যে সিরিয়াল তার তালিকায় এই সিরিয়াল থাকবে না, এমনটা কি হতে পারে? শিরোনাম যারা পড়ে ফেলেছে তারা ইতিমধ্যেই বুঝে গেছে আমরা কোন সিরিয়ালের কথা বলছি। এটি হলো সুখে দুখে মিষ্টি মুখে মিঠাই। লাগাতার ৫৭ সপ্তাহ ধরে টিআরপি তালিকায় প্রথম স্থান ধরে রেখেছে এই সিরিয়াল। তারপর যদিও টিআরপিতে ভাটা এসেছে তবে জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমেনি।
দিন দিন যত সিরিয়ালের পর্ব এগোচ্ছে তা তো একের পর এক নতুন নতুন চরিত্র আসছে। এর মধ্যেই আবার সিরিয়ালে এসেছে দুটো বড় টুইস্ট। মিঠাই হারিয়ে যাওয়ার পরে আবার হুহু তার মত দেখতে একটি মেয়ে এসেছিল যার নাম মিঠি। কালক্রমে তার সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় উচ্ছে বাবুর। কিন্তু দুজনের মাঝে থেকে গিয়েছিল মিঠাই এবং তার সন্তান শাক্য।
মা হারা ছেলেটি ছোট থেকেই বাবার কাছে মানুষ তাই একটু বেশি শাসন পেয়েছে আদরের থেকে। পা তাকে শাসন করতো আর মিঠি আসার পর তাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছিল এই মেয়েটি। তবে একটি কথা না বললেই নয় যে সে কখনোই বাচ্চাটির মা হয়ে ওঠার চেষ্টা করেনি বরং সে সবসময় চেয়েছিল বাচ্চাদের সঙ্গে তার বাবার সম্পর্ক যেন খুব সহজ সরল হয়ে ওঠে আর পাঁচটা সাধারণ বাবা এবং সন্তানের সম্পর্কের মতই। এই সূত্রেই একে অপরকে তারা পার্টনার বলে ডাকতো।
একে অপরকে তারা তুই বলে সম্বোধন করে। দেখে মনে হবে ঠিক যেন একই ক্লাসে পড়া দুই বন্ধু। কিন্তু দুজনের ভাবনা চিন্তা থেকে শুরু করে বয়স সব ক্ষেত্রেই আকাশ-পাতাল তফাৎ রয়েছে। অথচ কি সুন্দর এই ছোট্ট ছেলেটির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেলল মিঠি। তারপর মিঠাই ফিরে আসার খবর পেয়ে মেয়েটি ঠিক করেন সে এবার ছেলেটির সঙ্গে তার মায়ের দেখা করাবে। অবশেষে সে সেটা করেই ছাড়লো।
কিন্তু এরই মধ্যে মন খারাপ শাক্যর। সে নিজের বাবা-মা দুজনকে ফিরে তো পেয়েছে কিন্তু এবার তাকে হারাতে হবে তার বন্ধুকে। কারণ মিঠির বিয়ে হয়ে গেলো। আসলে এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে শাক্য মিঠির জন্য তার মনের কথা বলেছে। আর সেখানে এসে বলেছে যে তার বেস্ট ফ্রেন্ড চলে গেলে সে ভালো থাকবে কি করে? কার সঙ্গে সে খেলবে?