প্রেম বয়স মানে না, আর সেটাই প্রমান করে দিয়েছেন শ্রুতি দাস ও স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। এমনকি বয়সের ফারাক নিয়ে বহুবার ট্রোলের মুখে পড়েছেন তাঁরা। তবে তাঁদের জীবনে সেটার বিন্দুমাত্র এফেক্ট পড়েনি। বরঞ্চ টলিপাড়ার গুঞ্জন বলছে খুব জলদি তাঁরা সাত পাকে বাঁধা পড়বেন। সম্প্রতি বিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে কোথাও বললেন ‘রাঙা বউ’-এর নায়িকা। কবে মালা দেবেন পরিচালক প্রেমিকের গলায়? জানালেন সে কথা।
তাঁদের কাছে সম্পর্কের সমীকরণ অনেকটা অন্যরকম। ডেটে যাওয়া নয়, একে অপরের কেয়ার করাই প্রধান তাঁদের কাছে। এক সাক্ষাত্কারে নিজেদের বিয়ের প্ল্যানিং ফাঁস করলেন। শ্রুতি জানান, তাঁরা একপ্রকার সংসারই করছেন। শুধু সো কল্ড বিয়েটা হয়নি। শ্রুতির কথায়, তাঁরা সেটে ১৪ ঘণ্টা একসঙ্গে কাজ করেন। বাড়িতে তেমন সময় দিতে পারেন না।
কাজ শেষে বাড়ি গিয়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা। তবে ছুটির দিনে কলকাতার কাছাকাছি কোথাও থেকে ঘুরে আসেন গাড়ি নিয়ে, নিভৃতে সময় কাটান তাঁরা। বিয়ে নিয়ে তাই সেরকম কিছু ঠিক করেননি তাঁরা। দুজনেই গো উইথ দ্য ফ্লোয়ে বিশ্বাসী। তবে একটা সময় বিয়ে করার প্ল্যান রয়েছে। পাশাপাশি তাঁর আর স্বর্ণেন্দুর বয়সের ফারাক নিয়েও কথা বলেন শ্রুতি।
তিনি আরও জানান, শ্রুতির বয়সটা যেহেতু ওর থেকে অনেকটা কম, তাই অভিজ্ঞতাও অনেকটা কম। তবে শ্রুতির কাছে তাঁদের বয়সের ফারাক বাবার মতো কাউকে পেয়ে যাওয়ার মতো। স্বর্ণেন্দু তাঁকে বাবা-মার মতো টেক কেয়ার করে। এমনকি শ্যুটে এসে শরীর কীভাবে ঠিক থাকবে, অসুস্থ হলে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাওয়া, এটাই বেশি জরুরি তাঁদের কাছে।
সম্পর্কের চার বছর পরেও দুজন দুজনকে চোখে হারান তাঁরা। একে-অপরকে ছেড়ে থাকতেই পারেন না। শ্রুতির সঙ্গে স্বর্ণেন্দুর বয়সের ফারাক প্রায় ১৪ বছরের। অভিনেত্রীর প্রথম ধারাবাহিক ‘ত্রিনয়নী’র পরিচালক ছিলেন স্বর্ণেন্দু। তখনই পরিচালকই শ্রুতিকে দেখে প্রথম ভালোবাসার কথা জানান। শ্রুতি জানান, তিনি স্বর্ণেন্দুকে শুধু প্রেমিক হিসাবে নয়, শিক্ষক, গাইড হিসাবেও পাশে পেয়েছেন।