বর্তমানে জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে অন্যতম ধারাবাহিক হল ‘নিম ফুলের মধু’। সদ্য শুরু হওয়া ‘নিম ফুলের মধু’ কিছুদিনের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি শুরু হতে না হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকারও হয়েছে এই নতুন ধারাবাহিক। ধারাবাহিকের নায়িকা পল্লবী শর্মা (পর্ণা), বাবা-মা’র আদুরে মেয়ে পর্ণা।
তার ইচ্ছে ছিল বিয়ে করে যৌথ পরিবারে যাওয়ার। কিন্তু বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে যৌথ পরিবারে গিয়ে প্রতিদিন নতুন লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছে পর্ণা। তবে পর্ণা খুবই সাহসী ও চালাক মেয়ে। সে ঠিক সবকিছু সামলে আগে এগিয়েছে। পাশাপাশি শ্বশুরবাড়িতে আসা প্রতিটি বিপদে ঝাঁপিয়ে পরে সে। একের পর এক কাছের মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে সে, তাদের বিপদ থেকে মুক্ত করেছে।
কিন্তু তারপরও পর্ণার শাশুড়ি পর্ণাকে সর্বদা দোষী করে। তবে সে সঠিক কাজের দ্বারা ঠিক জবাব দিয়ে দেয় সকলকে। এই ধারাবাহিক প্রথম থেকেই সমাজকে কিছু না কিছু বার্তা দিয়ে এসেছে। এবার আরও এক বার্তা দিল উক্ত ধারাবাহিক। আমরা আগেই দেখেছি, কোঠিতে বিক্রি হয়ে যাওয়া এক মেয়ের সঙ্গে পর্ণার ছোট কাকা শ্বশুরের বিয়ে হয়। আর সেই ছোট কাকীকে দত্ত বাড়িতে যোগ্য সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালায় পর্ণ।
ঠিক সেসময় দত্ত বাড়িতে আসে আরও বড় বিপদ। ছোটকার সাথে ঘটে বড়সড় দুর্ঘটনা। আর সেই দুর্ঘটনার দায় এসে পড়ল ছোটকার বউ-এর উপরই। কারণ নীলাঞ্জনাকে খুঁজতেই ছোটকা অর্থাৎ অনিমেষ বাড়ি ছেড়ে বেরোয় আর তারপরই এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাই নীলাঞ্জনাকে সকলে অপয়া বলতে থাকে। এদিকে অনিমেষ বাঁচবে না, এমনটাই সন্দেহ হয়। তবে পর্ণা সাহসিকতার জোরে হাসপাতালের দুর্নীতিকে আটকে ছোটকাকে ঘরে ফিরিয়ে আনে। পর্ণা
এবার শুধুই ছোটকাকে বাঁচালো না, সাথে ভাগ্যের নাম করে পরিবারের গোঁড়ামিকেও নষ্ট করে পর্ণা। অপয়া বলে যে কিছুই হয় না, তা চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিল পর্ণা। এরপরই যখন ঘরের কিছু লোক ছোট কাকিকেই এর জন্য দায়ী করল, তখন পর্ণার মুখে আরেকটি সংলাপ ফের বার্তা দিল সমাজকে। স্বামীর দুর্ঘটনার জন্য স্ত্রীর দুর্ভাগ্য দায়ী হলে, স্বামী মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার পর স্ত্রীর সৌভাগ্যের কথা বলে না কেন সমাজ? সত্যি এই প্রশ্ন বাস্তবের সাথে ওতোপ্রোতোভাবে যুক্ত। আমরা এরূপ নানান ঘটনা প্রায়ই হতে দেখি আমাদের চারপাশে।