“হাম রহে ইয়া না রহে কল”- নিজের গাওয়া গানের এই লাইনে সত্যি করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন গায়ক কেকে। ঠিক এই গানটা দিয়ে শেষ হয়েছে গতকাল নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হওয়া গুরুদাস কলেজের লাইভ কনসার্ট। ঠিক তার এক ঘণ্টা পরেই মর্মান্তিক দুঃসংবাদ কলকাতার বুকে আছড়ে পড়লো।
সকালে বেড়াতে হলেন ৫৩ বছর বয়সী গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে। যে কলকাতাকে ভালোবেসে বললেন “এখানেই যেনো মরে যাই” সেই কলকাতাতেই চিরতরে নিদ্রায় কেকে। সন্ধ্যে ৬:৪৫ নাগাদ মঞ্চে উঠেছিলেন কেকে। শিল্পীকে চোখের সামনে দেখে উল্লাসে, আনন্দে ফেটে পড়ে অনুরাগীরা। কেউ কেউ নিজেকে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছে যে এই প্রথম এবং শেষ বার কেকেকে চোখের সামনে থেকে দেখতে পেল। আবার কেউ কেউ বলছে দুর্ভাগ্য। এত কাছে তিনি এলেন শেষবার তবুও দেখা হলো না।
তবে কেকের কনসার্ট নিয়ে শহরে দীর্ঘ সময় ধরে যে উত্তেজনা চলছিল সেই উত্তেজনার প্রতি তীব্র কটাক্ষ করেছেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। তিনি লাইভে বলেছেন কেকেকে নিয়ে যে তুমুল উত্তেজনা দেখা গেলো তেমন বাংলার গায়ক-গায়িকাদের নিয়ে কেন হয় না? তিনি এও দাবি করেছেন যে পশ্চিমবঙ্গের গায়ক-গায়িকারা কেকের থেকে ভালো গান গায়। কেকে কে? এই প্রশ্নও করেছেন তিনি।
তারপরেই মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেলেন রূপঙ্কর। হাজার আক্রমণ শুরু হলো তাঁর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। ঠিক তারপর মৃত্যু হল সংগীতশিল্পী কেকে। রূপঙ্কর বাগচীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রূপাঞ্জনা লিখেছেন “শেম অন ইউ রূপঙ্কর বাগচী। আপনি নিজের মনের সংকীর্ণতাকে সরান তারপর কেকের সঙ্গে তুলনা টানবেন নিজের। আপনার জাতীয় পুরস্কার পাওয়াটাই কাল, আগে বড় মনের মানুষ হন। বাংলার শিল্পী হিসেবে কতটা ছোট মনের পরিচয় দিলেন, আগে বড় মনের মানুষ হন। আপনাকে ধিক্কার। কেকে তাঁর গায়কী দিয়ে আমাদের মন জয় করেছেন। এভাবে তাঁকে ছোট করার অধিকার কেউ দেয়নি আপনাকে। ”