মঞ্চে তিল ধারণের জায়গা নেই। ঠিক জনসমুদ্র। এমন স্টেজে পারফর্ম করা যে কোনও শিল্পীর স্বপ্ন থাকে। কিন্তু সেটাই যে কাল হবে কৃষ্ণকুমার কন্নথের সেটা কি তিনিও আর বুঝতে পেরেছিলেন! তাই অকালেই হারাতে হলো 53 বছর বয়সী এই গায়ককে।
গতকাল নজরুল মঞ্চে ছিল কেকের লাইভ কনসার্ট। গুরুদাস কলেজ ছিল আয়োজনে। নিজের গাওয়া একের পর এক হিট গান দিয়ে দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন কেকে। দেড় ঘণ্টার বেশি চলে অনুষ্ঠান। তারপর হোটেলে ফিরে যান গায়ক। রাত্রিবেলা এক দুঃসংবাদে শোকে ভেঙে পরলো কলকাতা। কিছুক্ষণ আগে অবধি থাকা জ্বলজ্যান্ত সেই মানুষটা, সেই গায়কটা আর নেই।
মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে গোটা কলকাতাবাসীর এবং গোটা বলিউডের। শুধু বলিউড বললে ভুল হবে, এই ক্ষতি গোটা সংগীতজগতের। কিন্তু এই ক্ষতির পেছনে ঠিক কোনটা দায়ী?
ঠিক কী হয়েছিল মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে? এই মুহূর্তে এই প্রশ্নটাই বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নজরুল মঞ্চের এক কর্মী করলেন তথ্য ফাঁস। তিনি যে অভিযোগগুলো তুলে আনলেন সেগুলি পড়লে অবাক হয়ে যাবেন।
ওই কর্মী জানালেন ১২ বছর ধরে নজরুল মঞ্চে কাজ করছেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার এর মত এমন দৃশ্য এর আগে চাক্ষুষ করেননি তিনি। কে কে গান গাইতে ওঠেন সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ। প্রায় আটটা চল্লিশ নাগাদ অনুষ্ঠান শেষ হয়। প্রথম থেকেই ভিড়ে সংখ্যা বাড়তে থাকে।
মঞ্চে আসন সংখ্যা ছিল ২৪৮২, আর দর্শক হয়েছিল প্রায় ৮০০০। সাতটা দরজার পাঁচটাই খুলে দেওয়া হয়েছিল। এসি কাজ করছিল না তবে বন্ধ ছিল না। প্রচন্ড ভিড়ে দরজা খুলে দেওয়ায় হাওয়া বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছিল।
যে কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে আসার আগে কেকে কলকাতাবাসীর উদ্দেশ্যে জানান “আমি আসছি কলকাতা” সেই কলকাতাতেই শেষ অনুষ্ঠান করলেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে হঠাৎ শরীর খারাপ হয়। হাসপাতালে নিয়ে যেতেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করলেন গায়ক কেকেকে।