জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

অসহ্য হয়ে উঠছে মিঠিঝোরার চরিত্ররা ! সমাজমাধ্যমে রাই, নীলু, অনির্বাণদের চাঁচাছোলা ভাষায় তুলোধনা ধারাবাহিকপ্রেমীর

জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় মেগা সিরিয়াল ( Mega Serial ) ‘মিঠিঝোরা’ ( Mithijhora )। তিন বোনের গল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে গল্প। মূল নায়িকা রাইপূর্ণা বেনজির ব্যক্তিত্বের প্রমাণ দিয়ে চলেছে সে। সদ্য বড় অসুখ সারিয়ে উঠেছে সে। জীবনের অর্থ অনুভব করেছে। তাই সসম্মানে বাকি জীবনটা কাটাতে সম্পর্কে ইতি টেনেছেন স্বামী অনির্বাণের সঙ্গে সম্পর্কে।

এদিকে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে অনির্বাণ। বিবেক দংশনে বিদ্ধ হয়ে সে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায় রাইকে। এদিকে, বাড়ির সকলে অনির্বাণকে দূরছাই শুরু করেছে। শৌর্য্য, স্রোত যারা রাইয়ের পাশে দাঁড়িয়েছে, তারাও বিরোধিতা শুরু করেছে অনির্বাণের। সব মিলিয়ে জটিল পরিস্থিতি মিঠিঝোরায়।

Zee Bangla Mithijhora Serial 5th August Episode update

‘রাইয়ের চরিত্র যুক্তিসঙ্গত নয়…’ বলছেন ধারাবাহিকপ্রেমী নেটিজেন

এক নেটিজেন লিখছেন, রাইয়ের মেজবোন নীলু একটা পাক্কা শয়তান। অনেকেই নায়িকা রাইপূর্ণারে জীবন নষ্টের জন্য নীলুকে দায়ী করেন। বারবার নীলু তার জীবন নষ্টের জন্য রাইকে দায়ী করে। কিন্তু শৌর্য্য নীলুকে মেনে নিয়েছিল। তাও মিথ্যাচার করে শৌর্য্যকে ঠকিয়েছিল সে। যদি সে সুষ্ঠু ভাবে সংসার করত তবে সুখী হতো। ধারাবাহিকে নীলু ও শৌর্য্যর যখন বিয়ে হয়েছিল তখন শুরুটে রাইয়ের কথা মোটেও মনে পড়েনি শৌর্য্যর। সে নীলুকে নিয়েই ছিল।

অনির্বাণকে নিয়ে যারা খারাপ কথা বলেন তাদেরকেও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন ওই ধারাবাহিকপ্রেমী। লেখেন, ‘অনি ভাল না মানি। কিন্তু রাইয়ের চরিত্র কতটা যৌক্তিক?’ অভিযোগের আঙুল তুলেছেন নায়িকা রাইপূর্ণার দিকে। লিখছেন, ‘সে সারাক্ষণ তার পরিবার নিয়ে চিন্তায় মগ্ন থাকে। অফিস করবে,স্বামীকে ছুঁতে দেবে না, সময় দেবে না, আবার বড়লোক বাড়ির বউ হয়েও অটো করে অফিস যাবে। অনিকে ড্রপ করতে দেবে না। তাহলে সে কেন বড়লোক বিয়ে করল?

ওই নেটিজেন আরও বলেন, রাই যে পরিবারে বিয়ে করেছে সেভাবেই মানিয়ে করে থাকতে হয়। তার স্বামী যেহেতু সন্দেহবাতিক, তার উচিত স্বামীর সঙ্গে স্বচ্ছতা বজায় রাখা। তা না করে সব গোপন করে সারাক্ষণ ইগো আর ইগো। তার নিজের বোন এতো ক্ষতি করলে,মা-ভাই বিশ্বাস করলো না, তাদের বেলায় সে অনেক ভালে। শুধু অনির্বাণকে কেন সব দায়ভার নিতে হবে? এবার বল অনির্বাণের কোর্টে।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।