স্টার জলসাতে ( Star Jalsha ) সদ্য এসেছে ধারাবাহিক রাঙামতি তীরন্দাজ ( Rangamati Tirandaj )। ধারাবাহিকে নায়িকা হিসেবে দেখা যাচ্ছে নবাগতা অভিনেত্রী মনীষা মন্ডলকে। আর নায়ক হিসেবে দেখা যাচ্ছে নীলাঙ্কুর মুখোপাধ্যায়কে। এই ধারাবাহিক শুরু হওয়ার আগে নানান রকম সমালোচনা হলেও ধারাবাহিক শুরু হওয়ার পর প্রথম দুটো পর্ব দেখেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন দর্শক। অনেকেই নতুন আসা এই ধারাবাহিকের মধ্যে স্টার জলসার পুরনো ধারাবাহিকের ছোঁয়া খুঁজে পাচ্ছেন।
রাঙামতির প্রথম প্রোমো দেখার পর প্রচুর সমালোচনা হয়। ধারাবাহিকের নায়ক চরিত্রের অভিনেতা নীলাঙ্কুরকে এর আগে সান বাংলার কন্যা দান এবং কালার্স বাংলার রামকৃষ্ণাতে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করলেও নায়কের বিপরীতে সম্পূর্ণ নতুন অভিনেত্রীর মুখ দেখে অনেকেই সমালোচনা জুড়েছিলেন। ধারাবাহিক শুরু হওয়ার পর তারাই আবার অন্য কথা বলছেন। ধারাবাহিক শুরু হওয়ার পর অনেকেই বলেছেন গ্রাম্য মেয়ের চরিত্রে এত সুন্দর ভাবে মনীষাকে মানাবে সেটা অনেকেই ভাবতে পারেননি।
এই ধারাবাহিকের গল্প তো প্রথম থেকেই অভিনব ছিল। গ্রাম্য মেয়ে রাঙামতি, নুন আনতে পান্তা ফুরানোর জীবন যার, দিদিমনির সাহায্যে এবং উৎসাহে তার অলিম্পিকে গিয়ে সোনা জেতা ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করার গল্পই রাঙামতি তীরন্দাজ। ধারাবাহিকের প্রোমো থেকে শুরু করে টেলিকাস্ট হওয়া দুই পর্ব দেখে সেই আভাস ভালো মতোই পাওয়া যাচ্ছে। তীরধনুক হাতেই বন্য হাতিকে অব্যর্থ নিশানায় লক্ষ্যভেদ করে ঘুম পাড়ানি ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয় রাঙামতি। তার লক্ষ্যভেদ দেখে গ্রামবাসী থেকে শুরু করে দিদিমনি গর্বিত এবং আনন্দিত হয়ে ওঠেন।
তবে ধারাবাহিকের পর্ব দেখে প্রচুর দর্শক বলছেন যে ধারাবাহিকের মূল ভাবনা অভিনব হলেও এই ধারাবাহিকের মধ্যে পুরোনো গল্পের ছোঁয়া আছে। স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ছিল কে আপন কে পর, টিআরপিতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করেছিল এই ধারাবাহিক। কে আপন কে পর ধারাবাহিকের গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্ব চরিত্রের সাথে মিল রয়েছে রাঙামতির চরিত্রগুলোর। রাঙামতির হবু জা ও ভাসুরদের চরিত্রগুলো জবার জা, ভাসুরের চরিত্রের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠছে যেন। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চলছে বিস্তর আলোচনা।
আরও পড়ুনঃ আদৃতের নতুন ধারাবাহিকের নায়িকার নাম প্রকাশ্যে, কে হচ্ছেন উচ্ছে বাবুর নতুন নায়িকা?
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন , “রাঙামতি তীরন্দাজ এর প্রথম পর্বটা ওত ভালো না লাগলেও দ্বিতীয় পর্বটা খুব ভালো লেগেছে শুরু হতে না হতেই মা-বাবার সম্পত্তি, টাকা-পয়সা নিয়ে একে অপরের সাথে বিবাদ শুরু হয়ে গেছে দুই ছেলে তাদের বউ ও মেয়ের মধ্যে। এদের চরিত্রগুলো যেন কে আপন কে পর এর আদলে তৈরী। বড়ো বউ, বড়ো ছেলে দ্বিতীয় তন্দ্রা ও জয়। মেজো বউ, মেজো ছেলে দ্বিতীয় পালক ও দেবু আর মেয়ে ও জামাই দ্বিতীয় ময়ূরী ও স্বপ্নময়। রাঙামতির টিচার দিদিমণি তাকেই পাঠায় পরিবারের লোককে নিয়ে যাওয়ার জন্য। রাঙামতিকে তো দেখেই নাক সিটকানো শুরু হয়ে গেছে বড়ো বউয়ের। বোঝায় যাচ্ছে এখন অত জমজমাট না হলেও পরে ভালোই জমজমাট হতে চলেছে রাঙামতি তীরন্দাজ।”