অরিজিৎ সিং (Arijit Singh) আজকাল সবচেয়ে পরিচিত গায়কদের মধ্যে একজন। তার সুরেলা কণ্ঠ এবং অসাধারণ গায়নশৈলীর জন্য তিনি বিশ্বের সব প্রান্তে শ্রোতাদের মন জয় করেছেন। “তুম হি হো” (Tum Hi Ho) থেকে শুরু করে “চলে আনা” (Chale Aana)-র মতো হিট গানগুলির মাধ্যমে তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র সংগীত জগতে রাজত্ব করছেন। তার কণ্ঠে এমন এক আবেগ এবং গভীরতা রয়েছে, যা শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখে, এবং এই কারণে তার গানগুলো একের পর এক সুপারহিট হয়ে ওঠে।
অরিজিৎ সিং তার গানের গলায় এমন এক মায়াবী ক্ষমতা নিয়ে আসেন, যা তাকে সবার থেকে আলাদা করে তোলে। তার কণ্ঠে একটি অনন্য আবেগ রয়েছে, যা শ্রোতাদের হৃদয়ে গভীরভাবে গেঁথে যায়। তার গানগুলি যেমন রোমান্সের মাধুর্যে ভরা, তেমনি দুঃখ এবং বিষাদের মেলোডি দিয়েও সমৃদ্ধ। একাধিক ভাষায় গান গেয়ে তিনি বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে শ্রোতাদের মন জয় করেছেন, এবং তার অজস্র গান এখনও শ্রোতাদের দুঃখ-সুখের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন একটি গায়ক, যিনি তার গানের মাধ্যমে প্রতিটি অনুভূতি শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন, তার সঙ্গীত জীবনের শুরুটা কীভাবে হয়েছিল, তা অনেকেই জানতে চান।
অরিজিৎ সিং জানান, তার সঙ্গীত জীবনের প্রথম পা ছিল মায়ের হাত ধরে, যখন তিনি গানের স্কুলে ভর্তি হন। তিনি বলেন, “আমার মা ছিলেন আমার প্রথম গুরু।” ছোটবেলায় তার মা তাকে গানের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছিলেন। একদিন তিনি অরিজিতকে নিয়ে যান গানের স্কুলে, যেখানে তার সঙ্গীত শিক্ষার যাত্রা শুরু হয়। সেই সময় থেকেই তার কণ্ঠের প্রতি আত্মবিশ্বাস এবং সঙ্গীতের প্রতি গভীর ভালোবাসা জন্ম নিতে শুরু করে। সেখান থেকে তিনি ক্লাসিক্যাল সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ নেন এবং ধীরে ধীরে নিজের সুরেলা কণ্ঠের মাধ্যমে সঙ্গীত দুনিয়ায় পা রাখেন।
অরিজিৎ সিং আরও বলেন, “আজ আমি যা কিছু হয়েছি, তা আমার মায়ের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং উৎসাহের ফল। তিনি সবসময় আমাকে ভালো কিছু করতে শিখিয়েছেন এবং সঙ্গীতের প্রতি আমার ভালোবাসা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন।” তিনি নিজের সঙ্গীত জীবনের প্রাথমিক সময়গুলো স্মরণ করে বলেন, “গানের স্কুলে যাওয়ার পরই বুঝতে পেরেছিলাম, এটা আমার জীবনের পথ হতে যাচ্ছে।”
আরও পড়ুনঃ নায়িকা চরিত্রে কেউ নেয়না বলে আফসোস নেই, তবে সুযোগ পেলে আবার নায়িকা হব! শ্রীতমাকে নায়িকা চরিত্রে দেখতে চান আপনারা?
অরিজিৎ সিং আজ একজন বিশ্ব বিখ্যাত গায়ক হিসেবে পরিচিত হলেও, তার সঙ্গীত জীবনের শুরু ছিল খুবই সাধারণ একটি পরিবেশ থেকে। তার গল্পটি প্রমাণ করে যে, একজন মানুষের সফলতার পেছনে পরিবার এবং পরিশ্রমের ভূমিকা অপরিসীম।