জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আনন্দী’ দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ধারাবাহিকটি প্রতিদিনই টিআরপি তালিকায় ভালো ফলাফল করছে, এবং বর্তমানে এই গল্পের পরিণতি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ধারাবাহিকটি গল্পের গতিপথের মাধ্যমে ভক্তদের মনোরঞ্জন করছে এবং জনপ্রিয় নায়িকা আনন্দী ও তার পরিবারকে নিয়ে নতুন নতুন বাঁক নিচ্ছে।
আনন্দী একসময় লাহিড়ী বাড়ির সহজ-সরল, সদাচরণী বৌ হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে সে তার বুদ্ধিমত্তা ও উপস্থিত বুদ্ধির জন্য বাড়ির সকলের প্রিয় হয়ে ওঠে। লাহিড়ী বাড়ির বিভিন্ন সংকটে আনন্দী বরাবরই দৃঢ়ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে, যা তাকে পরিবারের অভ্যন্তরে একটি বিশেষ জায়গায় স্থাপন করেছে।
সম্প্রতি একটি প্রোমো এসেছে প্রকাশ্যে। রুশা মিথ্যে প্রেগনেন্সির নাটক করে লাহিড়ী বাড়িতে প্রবেশ করেছে। সে জানায় অনিন্দ্যর সন্তানের মা হতে চলেছে সে। অনিন্দ্য বিবাহিত হওয়ায় লাহিড়ী বাড়িতে ঢোকার জন্য এই পন্থা অবলম্বন করে রুশা। শেষে বাড়ির লোকজন বাধ্য হয়ে তাদের বিয়ের আয়োজন করে। রুশার ধারণা ছিল, এই গল্প দিয়ে তিনি লাহিড়ী বাড়ির সবার সহানুভূতি ও বিশ্বাস অর্জন করবেন এবং আনন্দীর প্রভাব কমিয়ে দেবেন।
কিন্তু আনন্দী সহজে হার মানার মেয়ে নয়। সে সন্দেহ করে এবং সিদ্ধান্ত নেয় সত্যটা বের করার। গায়ে হলুদের সময় তার কৌশলের পরিচয় মেলে। আনন্দী বিচুটি পাতা হলুদে মিশিয়ে দেয়। এরপরই রুশার মিথ্যেটা সবার সামনে ধরা পড়ে যায়। তার পেটে বাঁধা বালিশটা পড়ে যায় সবার সামনে। এবং সবাই বুঝতে পারে রুশা আদৌ প্রেগনেন্ট নয়।
আরও পড়ুনঃ এত ইয়াং মহিলার সব বুড়োটে ছেলে-মেয়ে! কনিনীকা-অদিতি হলে তাও মানা যায়’ চিরসখার কাস্টিং দেখে নায়িকা বদলের দাবি দর্শকদের
লাহিড়ী বাড়ির সকলে, যারা এতদিন রুশার উপর বিশ্বাস রেখেছিল, চরমভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আনন্দীর বুদ্ধিমত্তা ও সততার প্রমাণের পর, রুশাকে বাড়ি থেকে বিদায় করে দেওয়া হয়। এটাই ছিল আনন্দীর কিস্তিমাত ধামাকা। আনন্দী আবারো প্রমাণ করল যে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সাহস ও বুদ্ধিমত্তার কোনো বিকল্প নেই। এ ঘটনার পর, আনন্দী কেবল লাহিড়ী বাড়ির নয়, দর্শকের মনেও জায়গা করে নিল।