জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ সিরিয়ালে চলছে এখন টানটান উত্তেজনা। ইতিমধ্যেই এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে জানতে পারা গেছে, অরুনাভর ষড়যন্ত্রে তার বন্ধুকে কাজে লাগিয়ে শ্যামলীর অ্যাক্সিডেন্ট করিয়েছে। এই ঘটনার ফলে সাংঘাতিক চোট পেয়েছে শ্যামলী। এমনকি তাঁর পা’গুলো প্যারালাইসিস হয়ে গেছে।
আজকের পর্বের গল্পের শুরুতে দেখা যাবে শ্যামলী উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও সে দাঁড়াতে পারে না। ফলে, তখনই পরে যায়। এই সময়ে ডাক্তার বলে ওঠে, “আপনাকে তো বলাই হয়নি, আপনার পায়ে সাড় নেই। আপনার পা দুটো প্যারালাইসিস হয়ে গেছে”। এই শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ে শ্যামলী। এমনকি এই কথা শুনে অনিকেত এবং অনন্যা অবাক হয়ে যায়।
ডাক্তারের কথা বিশ্বাস না করেও শ্যামলী বার বার উঠে দাঁড়াতে চায় এবং কাঁদতে থাকে। শ্যামলীর এই অসহায় অবস্থা দেখে অনিকেত ও অনন্যাও কাঁদতে থাকে। অনিকেত বলে “শ্যামলী আপনি শান্ত হন”। কিন্তু শ্যামলী কারোর কথাই মানতে নারাজ। শ্যামলীর কথায় সেই দুদিন আগে পর্যন্ত ভালোভাবে হাঁটাচলা করছিলেন, অফিস যাচ্ছিলেন। কারোর কথা না শুনে শ্বেতা অর্থাৎ শ্যামলী বারংবার উঠে দাঁড়াতে থাকি এবং ততবারই তাঁকে অনিকেত-অনন্যা ধরে ফেলে।
শ্যামলীর এই অবস্থা দেখে ডাক্তারবাবু বলে, ” যদি এইভাবে বারবার পায়ে আঘাত লাগান তাহলে কিন্তু আপনি ভবিষ্যতে হাঁটতেই পারবেন না। তাই আপনি একটু শান্ত হন”। এমনকি ডাক্তারবাবু তাঁকে এই বলে আশ্বাস দেয়, ভবিষ্যতে সম্ভাবনা আছে শ্যামলী আবারও সাধারণভাবে চলাফেরা করতে পারবেন। এরপর অন্যরকমে শ্যামলীকে শান্ত করে অনিকেত ও অনন্যা বাড়ি ফিরিয়ে আনে। অন্যদিকে আবার রাজ সাক্ষী হওয়ার জন্য অরুণাভ সায়ন্তনকে বেশ অনেকটা বড় পরিমাণ এর টাকা দিয়ে দেয়। আরও টাকার লোভ দেখিয়ে অরুনাভ সায়ন্তনকে বলে, “এই যে টাকাটা দিলাম, আর বাদ বাকি টাকা কোর্টে গিয়ে সাক্ষী দেবে তারপরেই দেব”। এই শুনে সায়ন্তন বলে কোনো কাজ নেই বলেই সে অরুনাভর কাজটা করে দিচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ফের একবার পর্দা কাঁপতে আসছেন ‘হৃদয় হরন বিএ পাস’ খ্যাত জয়ী দেব রায়! কোন চ্যানেলে দেখা যাবে নায়ককে?
অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে শ্যামলীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা মাত্রই সকলেই বলতে থাকে কিভাবে তার এই অবস্থা হল। এইসব কথা বলতে বলতে হঠাৎ এই বাড়িতে প্রবেশ করে পুলিশ এবং অনিকেতকে খুঁজতে থাকে। পুলিশ অফিসার বাড়িতে আসা মাত্রই তারা জানায় অনিকেতকে এরেস্ট করতে এসেছে। পুলিশ বলে কিঞ্জল মল্লিকের খুনের অপরাধে তারা অনিকেতকে ধরতে এসেছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই কথা শুনে বাড়ির সবাই অবাক হয়ে যায় এবং শ্যামলী বলে, “আমার স্যারকে আমি কোথাও নিয়ে যেতে দেব না”। এই সময় শ্যামলী বলে ওঠে এর আগেও তিনজনের মৃত্যুর জন্য তাকে পুলিশ এরেস্ট করেছিল কিন্তু তার জন্য অনিকেত সাক্ষী দিয়েছিল। পর্বের শেষে দেখা যায় পুলিশেরা অনিকেতকে এরেস্ট করে নিয়ে চলে যায়। তাহলে অবশেষে কি অনিকেত নির্দোষ প্রমাণিত হবে নাকি অরুনাভর ষড়যন্ত্রের কাছে হেরে যাবে অনিকেত?