বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীত রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’ (Saregamapa) , বছরের পর বছর ধরে নতুন প্রতিভার সন্ধান দিয়েছে। এই মঞ্চ থেকে অনেকেই প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে নিজেদের কেরিয়ার গড়ে তুলেছেন। ২০২৪ সালের ‘সারেগামাপা’র সিজনও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রতিযোগীদের অসাধারণ পারফরম্যান্স, বিচারকদের গাইডেন্স এবং মেন্টরদের অনুপ্রেরণায় এই সিজনটি দর্শকদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।
এই সিজনের ফাইনাল (Grand finale) সম্প্রচারিত হয়েছিল ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪। বহু প্রতিযোগী তাদের সঙ্গীত প্রতিভা দিয়ে দর্শক ও বিচারকদের মন জয় করেছেন, তবে বিশেষভাবে নজর কেড়েছেন বাংলার মেয়ে ‘আরাত্রিকা সিনহা’ (Aratrika Sinha) । তার সুরেলা কণ্ঠ এবং আবেগপ্রবণ গানের পরিবেশনা শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্বে তার পারফরম্যান্স প্রশংসিত হয়েছে, যা তাকে ফাইনালে জায়গা করে নিতে সাহায্য করেছে।

ফাইনাল পর্বে তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের পরই বড় চমক আসে। বিচারকমণ্ডলীর এক সদস্য সরাসরি মঞ্চ থেকেই তাকে প্লেব্যাকের (playback) সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা করেন। সাধারণত প্রতিযোগীরা শো শেষ হওয়ার পর প্লেব্যাক ইন্ডাস্ট্রিতে সুযোগ পান, কিন্তু অরাত্রিকার ক্ষেত্রে বিষয়টি ব্যতিক্রম। তার প্রতিভা এতটাই মুগ্ধ করেছে যে, তিনি সোজা মঞ্চ থেকেই প্রস্তাব পেয়ে যান। এই মুহূর্তটি শুধু তার জন্য নয়, সমগ্র বাংলার সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য গর্বের ছিল।
এই সুযোগ অরাত্রিকার জীবনে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। এতদিন পর্যন্ত তিনি শুধুমাত্র রিয়েলিটি শো-এর মাধ্যমে দর্শকদের সামনে এসেছিলেন, কিন্তু এবার তিনি সত্যিকারের প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে আত্মপ্রকাশের দ্বারপ্রান্তে। সম্প্রতি নিজের সমাজ মাধ্যমে রেকর্ডিং স্টুডিয়োতে গান গাওয়ার বেশকিছু ছবি পোস্ট করে অরাত্রিকা, সেখানে লেখা – “জীবনে প্রথম কোনও সিনেমায় গান গাইবার সুযোগ এত তাড়াতড়ি আসবে ভাবিনিl ধন্যবাদ শ্যামল জেঠু।”
আরও পড়ুনঃ “‘এটা কি সত্যি পল্লবী দে? নাকি চোখের ভুল?”— ‘মিত্তির বাড়ি’র নতুন প্রোমোতে প্রয়াত নায়িকার ছোঁয়া পেলেন দর্শকরা!
বাংলার সংগীত জগতে অরাত্রিকার এই সাফল্য এক বড় উদাহরণ হতে পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। অনেক তরুণ-তরুণী যারা সঙ্গীতকে ভালোবাসেন এবং কেরিয়ার হিসেবে বেছে নিতে চান, তাদের জন্য এটি একটি অনুপ্রেরণার গল্প। অরাত্রিকার এই নতুন যাত্রা কতটা সফল হয়, তা সময়ই বলে দেবে, তবে এক কথায় বলা যায়, তার প্রতিভা ও কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি তিনি ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছেন।