জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

নকল বোমা, মিথ্যে কান্না, সব শেষ! ফুলকি যা করল তাতে অবশেষে জেলে ঠাঁই হল ঈশিতার!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ফুলকি’ প্রতিদিনই নতুন চমক নিয়ে হাজির হচ্ছে। ধারাবাহিকের প্রতিটি চরিত্রের ভিতরে লুকিয়ে থাকা রহস্য, আবেগ আর প্রতিশোধের আগুন দর্শকদের মন কেড়েছে বহুদিন ধরেই। আজকের পর্বে একদিকে ছিল নাটকীয় উত্তেজনা, অন্যদিকে ছিল দুঃসাহসিক এক ষড়যন্ত্রের মুখোশ খুলে পড়ার মুহূর্ত। এদিনের পর্বে দর্শক যা দেখলেন, তা নিঃসন্দেহে মনে দাগ কেটে যাবে।

ফুলকি আজকের পর্ব ১৬ এপ্রিল (phoolki today episode 16 april)

আজকের শুরুতেই দেখা যায়, ঈশিতা নিজের গায়ে বোমা বেঁধে দাঁড়িয়ে সকলকে জানাচ্ছে সে আত্মহত্যা করতে চলেছে। মুহূর্তে ভয় ছড়িয়ে পড়ে বাড়ির প্রতিটি কোণে। কারও মুখে কথা নেই, সবাই আতঙ্কে জমে গিয়েছে। এর মধ্যেই দৃঢ়চেতা ফুলকি এগিয়ে আসে, একটি জোরালো থাপ্পড় মেরে ঈশিতাকে থামায়। সে সবার সামনেই বলে—”তুমি এত স্বার্থপর, তুমি কখনওই কারোর জন্য নিজের প্রাণ দিতে পারবে না!” এই মন্তব্য শুনেই যেন সকলের চোখ খুলে যায়।

Tollywood,Zee Bangla, serial Phulki, entertainment, Dibyani Mondal, Abhishek Bose, অভিষেক বোস, টলিউড, জি বাংলা,সিরিয়াল, ধারাবাহিক, ফুলকি, বিনোদন, দিব্যানী মন্ডল

ফুলকির কথায় প্রকাশ্যে আসে সত্যি। দেখা যায়, ঈশিতার বোমা আসলে নকল। সে শুধুই নাটক করছিল সবাইকে ভয় দেখানোর জন্য। বাড়ির লোকজন হতভম্ব হয়ে যায়। তমাল, ধানু সকলেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে। ধানু স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, “এটা একটা অপরাধ, এখনই ওকে জেলে পাঠানো উচিত।” এমন সময় বাড়িতে প্রবেশ করে অংশুমান এবং তার স্ত্রী, গোটা পরিস্থিতি দেখে তারা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে পড়েন।

ঈশিতা কান্নায় ভেঙে পড়ে, জানায় সে তমালকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না। কিন্তু কেউ তার কথায় বিশ্বাস করে না। বরং সবাই বলে, সে তমালকে কোনওদিন ভালোবাসেনি, শুধুই স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করেছে। এরপর ঈশিতা জানায় রুদ্র এবং রিকির কথায় যে এই কাজ করতে রাজি হয়েছে এই নাটকে রাজি হয়েছে। তখনই লাবু বলে ওঠে—রুদ্র জেল থেকেও ক্ষতি করতে চাইছে পরিবারের। ঠিক তখনই ফুলকি ও ধানু মিলে সিদ্ধান্ত নেয়, ঈশিতাকে জেলে পাঠানোর আগে একটা ‘মুভি’ দেখানো যাক।

ঈশিতাকে চেয়ারে বসিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। আর তার সামনেই শুরু হয় তমাল ও ঝিনুকের বিয়ে। সিঁদুর পড়ানোর মুহূর্তে ঈশিতা মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে—এই অপমানের বদলা সে নেবেই। আর খুব শিগগিরই সে এবং রুদ্র আবার ফিরে আসবে সবকিছু ধ্বংস করতে। অবশেষে বিয়ে সম্পন্ন হতেই পুলিশের আগমন ঘটে। ঈশিতাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারে ফিরে আসে আনন্দ, চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে খুশির হাওয়া। গান, নাচে মেতে ওঠে সবাই।

এই পর্বে ছিল চূড়ান্ত নাটকীয় মোড়, যেখানে প্রতিটি চরিত্র নিজস্ব অবস্থান স্পষ্ট করে দিল। ঈশিতা-রুদ্রর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা জানার জন্য চোখ রাখতে হবে আগামী দিনের এপিসোডে।

Piya Chanda