জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“আমি ছেলেকে স্তন্যপানে অভ্যস্ত করাচ্ছি না!” আমি ছেলেকে আমার সবটা সময় দিতে পারব না! নবজাতককে নিয়েই কাজে ফিরে স্পষ্ট কথা মানসীর!

ছেলের বয়স সবে ২৬ দিন। এর মধ্যে রীতিমতো কর্ম জগত নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন টলিপাড়ার ছোট পর্দার অভিনেত্রী মানসী সেনগুপ্ত (Manashi Sengupta)। তবে অভিনয় দুনিয়ায় এমনটা যে প্রথম ঘটেছে তা নয়। বলিউডে করিনা কাপুর থেকে শুরু করে তার ভাতৃবধূ পর্যন্তও মা হওয়ার কেবল ৪ মাসের মাথাতেই জোর কদমে শুটিংয়ের কাজ শুরু করে দেয়।

তবে বর্তমানে এদের সকলকে ছাপিয়ে গেছেন টলি অভিনেত্রী মানসী। ছেলের বয়স এখনও হয়নি ১মাস, আর তার মুখে কাজ শুরু করে দিয়েছেন অভিনেত্রী। এমনকি অন্তঃসত্ত্ব থাকা অবস্থাতেও বেশ ভালোই লাইমলাইটে আসতে দেখা গেছে মানসীকে। অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীনই শেষ কাজ করেছিলেন ‘নিম ফুলের মধু’তে।

অভিনেত্রী জানিয়েছেন কাজেই তার শান্তি। তাই সন্তান বড্ড ছোটো থাকার কারণে আপাতত একরত্তিকে সঙ্গে নিয়েই শুটিং সেটে যাচ্ছেন অভিনেত্রী। কাজের ফাঁকে ফাঁকেই চলছে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো সবকিছু। কিন্তু, সন্তানের একটা জিনিসে নারাজ অভিনেত্রী। কাজের পাশাপাশি ছেলেকে স্তন্যপানে অভ্যস্ত করাতে নারাজ মানসী।

মাতৃত্বকালীন জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, “আমার সি সেকশন হওয়ার চার দিন পর কিন্তু ছেলেকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরি। কারণ গাড়ি চালানোটা আমার কাছে চাপমুক্তির মতো। আর এই যে এত তাড়াতাড়ি কাজে ফিরেছি কারণ কাজের মধ্যে শান্তি খুঁজে পাই। এটা কারও সঙ্গে কোনও পাল্লা বা প্রতিযোগিতা নয় আমার তো কোনও শারীরিক অসুবিধা হচ্ছে না। বরং ১৫ কেজি ওজন কমেছে। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করছি। কিন্তু সবটা করছি চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে”।

এখন সেই অর্থে কাজের চাপ না নিলেও বিজ্ঞাপন ফটোশুট কিংবা কোলাবরেশনের কাজ এগিয়ে রাখছেন যাতে আগামী দিনে কোনো ধারাবাহিক নতুন করে শুরু হলে তাতে না সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে এদিকে আবার কাজের সঙ্গে সন্তানকে সঠিক পুষ্টি দিয়ে বড় করে তোলাটাও মায়ের একটা অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। এই স্তন্যপানের ক্ষেত্রে অভিনেত্রী বলেন, “আমি ছেলেকে স্তন্যপানে অভ্যস্ত করাচ্ছি না। কারণ এই অভ্যেস করালে ও সেটা ছাড়া থাকতে পারবে না। এ দিকে মায়ের দুধও দরকার সন্তানের। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দুগ্ধ নিষ্কাশন করে রাখি। তার পর সেটা আমি অথবা আমার পরিবারের অন্য কেউ খাইয়ে দেয়। কারণ মাস কয়েক পরে এই অভ্যেস থাকলে আমি কাজে বেরোতে চাইলে আমাকে ছাড়তে চাইবে না। আমাকে সব দিক দেখতে হবে। কাজে তো বেরোতেই হবে, ভবিষ্যৎটা ভাবতে হবে”।

মানসী আরো বলেন, “আমি যেমন আমার পরিবারকে অবহেলা করতে পারব না। তেমনই কাজকে অবহেলা করতে পারব না। আর আমি কাজের মধ্যে থেকেই সবাইকে ভাল রাখতে পারব”। এছাড়াও কাজকে সমান প্রাধান্য দিয়ে দুই সন্তানকে বড় করে তোলা এখন অভিনেত্রীর একমাত্র লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। এক কথায় বলা যেতে পারেন নববর্ষের এ এক অন্যরকম প্রতিজ্ঞা নিজের কাছেই করেছেন অভিনেত্রী।

Piya Chanda