জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“ইদানীং কেন জানি না মনে হচ্ছে, বড্ড বেশি প্রচারের আলোয় চলে আসছি, এত সাক্ষাৎকার আমার বক্তব্য যেন ফুরিয়ে আসছে!” বর্তমান ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অকপট টোটা রায়চৌধুরী !

আজকালকার দিনে, লাইমলাইটে কে না আসতে চায়? সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা, সমাজের লাইন লাইটে আসতে চাই সকলেই। আর, মানুষের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে দৃষ্টি আকর্ষণ করার প্রবণতাও বেড়ে গেছে।

আবার, অনেকেই চান জনতার কাছে সমালোচিত হয়ে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে, তা ভালো হোক কিংবা মন্দ। তবে, বাংলা ইন্ডাস্ট্রির এক শিল্পীকে নাকি বেশ নিয়মিতভাবেই রোজ দেখা যাচ্ছে প্রচারের আলোয়, শহরের সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন অভিনেতা টোটা রায়ের চৌধুরী।

অভিনেতার কথায়, “ইদানীং কেন জানি না মনে হচ্ছে, বড্ড বেশি প্রচারের আলোয় চলে আসছি। এত সাক্ষাৎকার দিচ্ছি যে ঘুরেফিরে যেন একই কথা বলছি। বক্তব্য যেন ফুরিয়ে আসছে! ভয় হচ্ছে, এত দেখতে দেখতে, একই কথা শুনতে শুনতে এ বার দর্শকেরই না একঘেয়ে লাগতে থাকে!”

তবে, বর্তমান সমাজ প্রচারের আলোর ওপরেই বড্ড নির্ভর করে। বিশেষত বিনোদন দুনিয়ার ব্যক্তিরা ছবি প্রচারের সময় তো বটেই এমনকি বাকি সময়টুকুও শিল্পীরা কিছু না কিছু অনবরত বার্তা দিয়েই চলেছে সমাজ মাধ্যমে। তাহলে এই প্রবণতাই কি অভিনেতাকে আরও বেশি করে ভাবিয়ে তুলছে?

Tota Roy CHowdhury 1 1

উদাহরণস্বরূপ উত্তম কুমারের প্রসঙ্গত তুলে টোটা বললেন, “জনতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রেখে ব্যক্তিগত পরিসরেও একই রকম উৎকর্ষ ও আনন্দে যাপন করতেন বলে আজও তিনি তাঁর অনুরাগীদের কাছে ঈশ্বরতুল্য!”

কথায় কথায় অভিনেতা আরো বললেন, আজকাল দক্ষিণী সিনেমা জগতের কাজ কিছুটা হলেও কমিয়ে দিয়েছেন। বরং বেশি করে সময় দিচ্ছেন বলিউড এবং টলিউডকে। বাংলা ইন্ডাস্ট্রি যেমন তাকে তৈরি করেছে তেমনি বলিউড তাকে সিনে জগতে পরিচিতি বাড়াতে সাহায্য করেছে, তাই দুটোর গুরুত্বই সমান।

নিজের কাজের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা জানালেন চলতি মাস কিংবা আগামী মাস থেকেই তিনি আবার ফেলুদার কাজে লিপ্ত হবেন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। তবে এবারে সৃজিত নয়, পরিচালকের ভূমিকায় থাকছেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।

মনের মধ্যে কিঞ্চিৎ ভয়ে আছে কিনা জিজ্ঞাসা করাতে তিনি বললেন, “না, সেটা হচ্ছে না। তবে মন দিয়ে কমলদার চাওয়া, বক্তব্য বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছি”। টোটা আরও বললেন, “‘ফেলুদা’ করার দেড় সপ্তাহ আগে সব কাজ বন্ধ করে দিই। ডাবিংও করি না। তখন আমার ভিতর-বাহির সত্যজিৎ রায়ের ‘প্রদোষ চন্দ্র মিত্র'”।

এদিকে আবার ফেলুদার সহকারী তোপসে পর্দার বাইরে যিনি অভিনেতা কল্পন মিত্র নামে পরিচিত তাঁর নাকি বিয়ে হয়েছে। নববর্ষের আড্ডায় কল্পনের প্রসঙ্গ উঠতেই অভিনেতা বললেন, “কল্পনকে তো চেনাই যাচ্ছে না! বিয়ের ছবি সমাজমাধ্যমে দিয়েছিল। দেখলাম। মনে হচ্ছে কিশোরবেলায় ফিরে গিয়েছে…”, বিয়ে প্রসঙ্গে টোটা বললেন, “ছেলেদের বিয়ে হলে উন্নতি অবধারিত। কেউ রুখতে পারবে না!” এর সঙ্গে যোগ করলেন, “এই যে বিয়ে হল কল্পনের, এ বার ওর উন্নতি দেখবেন!”

সাক্ষাৎকারী অভিনেতাকে রসিকতার প্রসঙ্গে উস্কে দিয়ে টোটা রসিকতা জানেন? জিজ্ঞাসা করাতে বললেন, দাম্পত্য জীবন সুখী হলে আর মনের মতন দোসর পেলে পুরুষের জীবনে এমনিতেই উন্নতি আসে। একইভাবে নারীর জীবনেও ঘটে, বললেন টোটা রায়চৌধুরী।

Piya Chanda