বর্ষবরণের আনন্দের মুহূর্তেই ‘মিত্তির বাড়ি’ (Mittir Bari) তে আচমকা আবির্ভাব ঘটে জোনাকির কাকিমার। তিনি এসেই ফাঁস করে দেন জোনাকির অতীতের এক অজানা অধ্যায়কে। জোনাকির মা সম্বন্ধে তিনি বলেন খু’নের দায়ে জেলে রয়েছে তার মা জোনাকি (Parijat Chaudhuri) একজন খু’নির মেয়ে! এই ঘটনায় বাড়ির মধ্যে একের পর এক অভিযোগ আর সন্দেহের সুর যেন নতুন করে উস্কে দেয় পরিস্থিতিকে।
এদিকে, জেলার কাকার উপস্থিতিতে কিছুটা সত্য উদঘাটিত হলেও, জোনাকির উপর আস্থা রাখতে নারাজ ধ্রুব। পরিবারের সম্মান আর ব্যক্তিগত অনুভবের মাঝে জর্জরিত ধ্রুব, মুখে কিছু না বললেও, মনে মনে লড়ছে ভালোবাসার টানাপোড়েনে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয় যখন ধ্রুব জোনাকিকে বলে বসে, “এত বড় মিথ্যে নিয়ে যে মানুষ বাঁচে, সে আর যায় হোক আমার জীবনের সঙ্গী হতে পারে না।” মুখে তার অবজ্ঞা থাকলেও, মনে আছে অন্য কথা।

ধ্রুব জানে জোনাকি লড়ছে ন্যায়ের জন্য, কিন্তু সমাজ আর সংসারের বাস্তবতায় জোনাকিকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। অন্যদিকে, জোনাকি নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, ভবিষ্যতের লড়াইতে আর কাউকে পাশে না পেয়ে নিজেকেই সঙ্গী করে নিচ্ছে। জোনাকি নিজের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য যোগ্য উকিল হয়ে মায়ের ন্যায়ের জন্য লড়তে চায়, সেটা করতে গেলে জোনাকিকে মিত্তির বাড়ি ছাড়তেই হবে বলে মনে করে ধ্রুব। তাই জোনাকির সাথে দূরত্ব তৈরি করতে থাকে সে।
এমন টানাপোড়েনের মাঝে জি বাংলার মিত্তির বাড়ি ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একই অটোতে উঠে পড়ে ধ্রুব আর জোনাকি। কিন্তু সেই মুহূর্তেই আপত্তি তোলে জোনাকি। সে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, সে ধ্রুবর সঙ্গে এক গাড়িতে যেতে চায় না। অটো থেকে নেমে আসে জোনাকি, আর মনে মনে বলে ওঠে—”আমি তো ওনার সামনে যেতে চাই না, তাও কেন বারবার উনিই আমার সামনে চলে আসছেন?”
আরও পড়ুনঃ ‘পরিণীতা’তে এবার তূর্যর নিশানায় মনোজ! ষড়যন্ত্রের শিকার শ্রীতমার শ্লী’ল’তাহানি চেষ্টা! পারুল আর রায়ান নিলো শপথ দোষীকে উচিৎ শিক্ষা দেওয়ার!
কিছুক্ষণ পর, ধ্রুব নিজেই অটো ছেড়ে নেমে যায়, আর জোনাকি সেই অটোতে করে চলে যায়। ধ্রুবর এই সিদ্ধান্ত কি আরো কাছে আনছে দুজনকে? জোনাকি কি হতে পারবে একজন যোগ্য উকিল? জোনাকি কি পারবে তার মায়ের হয়ে ন্যায় বিচার করতে? পরবর্তীতে কি হবে জানতে চোখ রাখুন জি বাংলার পর্দায় শুধুমাত্র মিত্তির বাড়িতে রোজ রাত ৯ টায়।