বৈশাখ মাস মানেই বাঙালিদের কাছে যেমন প্রবল গরমকল তেমনই অন্যতম বিয়ের মরসুমও বলা যেতে পারে। আর, এই বিয়ের প্রভাব দেখা যায় সিরিয়ালের গল্পগুলোতেও। বর্তমানে, এখন জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকের কাহিনীতে দেখা যাচ্ছে অপর্ণার বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে।
কিন্তু, এদিকে অপর্ণা বিয়ে করতে একেবারেই নারাজ। তা সত্ত্বেও সে বাবা-মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে রাজি হয়েছে এই বিয়েতে। অপর্ণার মন জুড়ে কেবলই বিরাজ করছে এ এস আর অর্থাৎ আর্য সিংহ রায়। ইতিমধ্যে, এই সিরিয়ালের বিগত কিছু পর্বে দেখা গেছে অপর্ণা মনের কথা প্রকাশ করেছে তার আর্য স্যারকে।

কিন্তু, এদিকে আর্য অপর্ণার বাবা-মায়ের অনুরোধ ফেলতে পারেনি। তাই, অনিচ্ছা সত্ত্বেও আর্য অপর্ণাকে এই বিয়েতে রাজি করায়। এমন সময় আর্যও অপর্ণার প্রতি ভালোবাসা অনুভব করতে পারে। এদিকে, দুজনেই হয়েছে পরিস্থিতির শিকার।
এমন সময়, এই ধারাবাহিকের গত পর্বের এক দৃশ্য দেখা গেছে আর্য অপর্ণা এবং বাড়ির সবাই মিলে সোনার দোকানে গয়না কিনতে গেছে। কিন্তু, একটা পায় ৪লাখ টাকার হার পছন্দ হও। এই সময় শম্ভুবাবুর আসল চরিত্র অপর্ণার মা-বাবাকে বোঝানোর জন্য আর্য মনে মনে ভাবে, ‘এই শম্ভু বাবু যা লোক নিজের গ্যাটের টাকা খরচা করে এই হারটা কিনছেন। এখন যদি এই হারটা না পায় তাহলে আসল চেহারাটা দেখিয়ে দেবেন’।
আর্য মনে মনে আরো বলে, সে অপর্নার জন্য সরাসরি এই বিয়েটা বন্ধ করতে না পারলেও ঠারেঠোরে তাঁর বাড়ির লোকদের শম্ভু বাবুর স্বভাব চরিত্রটা বোঝাতেই পারে। এই ব্যবহারের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, আর্যও কখনো চায় না এই বিয়েটা হোক। দেখা যায়, অপুর পছন্দ করা হারটা সবার চোখের আড়ালে এক নিমেষে সরিয়ে দেয় আর্য।
আরও পড়ুনঃ আদর্শ স্বামী একেই বলে! জোনাকিকে আত্মনির্ভর হতে সাহায্য করছে ধ্রুব! পিছনে থেকেও সর্বদাই তার সঙ্গে সে, মুগ্ধ দর্শকরা
এরপর, যথারীতি অপু হারটা খুঁজতে থাকে আর সবাইকে বলে, ‘তোমরা কেউ কি ওই দিক থেকে হারটা নিয়ে নিয়েছে?’ এই শুনে অবাক হয়ে যায় সবাই। এখন, অনেক দর্শকের মনে প্রশ্ন এই ঘটনার মাধ্যমে কি আদৌ শম্ভু বাবুর আসল চরিত্র ফাঁস হবে নাকি শেষ পর্যন্ত তাঁর ছেলের সঙ্গেই বিয়ে হয়ে যাবে?