জি বাংলার ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora) তে দিন দিন এমনিতেই যা সব চমক আসছে, সেটা দেখে দর্শক নিজেদের ঠিক রাখতে পারছেন না। আর এবার তো যেন সব সহ্যের সীমা অতিক্রম করে গেল এই ধারাবাহিক। রাইয়ের জীবনে এমনিতেই থেকে থেকে ঝড় আসে, না না যেই সেই ঝড় না, একেবারে ঘুর্নিঝড়! সেই ঝড় সামলে উঠতেই রাই এর জীবনে আসে আরো বড় ঝড়, এবার তো যেন সেই ঝড়টাই চোখে এসে লেগেছে!
সদ্য সন্তান আগমনের খুশিতে অনির্বাণের সঙ্গে সাধভক্ষণ অনুষ্ঠান উদযাপন করেছে রাই, হঠাৎই নাটকীয় মোড়ে আসে এরপর। সদ্য প্রকাশিত নতুন প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে একদিকে সন্তানের আগমনে শারীরিক কষ্টে রাই, আর এরই মধ্যে সবাইকে চমকে দিয়ে সে বলে ওঠে— “অনির্বাণ, আমি চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছি না!” এই নিয়ে চরম হাসাহাসি শুরু হয়েছে দর্শকমহলে।

সবাই বলছেন গল্পে নতুন মোড় আনার দরকার ছিল, তাই বলে রাইকে অন্ধ বানানোর পথে হাঁটলো কি নির্মাতা? প্রেগনেন্ট হতে গিয়ে কেউ চোখে দেখতে পায় না—এমন চিকিৎসা বিজ্ঞানেও নেই! কিন্তু সিরিয়াল বিজ্ঞান বলে, “লজিক কে মেরে ফেলো, শুধু পর্ব বাড়াও!” এতদিন নীলুর চক্রান্ত, সংসার যন্ত্রণা, ডিভোর্স, তারপর অন্তঃসত্ত্বা রাই যখন জীবনে নতুন আশার আলো দেখতে যাবে,
ঠিক তখনই তাঁকে অন্ধ হতে হলো! এই পরিস্থিতিতেই গলা জড়িয়ে ধরে অনির্বাণ বলে—”কি হয়েছে এরকম করছো কেন?” রাই চোখ বড় বড় করে বলছে, “আমি কিছু দেখতে পাচ্ছি না…”, এই নিয়ে চরম ক্ষিপ্ত দর্শকরা। কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন, “এইটা কোন ডাক্তারি বইতে আছে যে গর্ভাবস্থায় চোখে অন্ধত্ব আসে?” আবার কেউ কেউ লিখছে, “রাইয়ের চোখ গেলেও সমস্যা নেই,
আরও পড়ুনঃ প্রেমিকের জীবনের বিনিময়ে বেইমানি করল শ্রীতমা! তার মিথ্যে বয়ানের পিছনে রয়েছে তুর্যর হাত! পারুলের চড়ে কী সত্যিটা বলে দেবে শ্রীতমা? পরিণীতাতে ধুন্ধুমার পর্ব!
সিরিয়ালের স্ক্রিপ্ট লেখার মান দেখে বুঝে যায়, এখানে সব চরিত্রই দৃষ্টিশক্তিহীন।” দর্শক এখন একটাই প্রশ্ন তুলছেন—এইসব করার কি দরকার ছিল? একজন মহিলা মা হতে চলেছেন, সেটাই কি যথেষ্ট নয় গল্প বাড়াতে? না কি নির্মাতাদের চোখে ‘স্ট্রাগেল ইজ বিউটি’ আর ব্লাইন্ডনেস ইজ বোনাস! টিআরপি বাড়াতে এতটাও বাড়াবাড়ি কি ঠিক হচ্ছে? রাইয়ের এই চরিত্রটিকে কি তাহলে এক্সট্রা সিমপ্যাথি নেওয়ার মেশিনে পরিণত করা হলো?