জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

মাত্র ২৪ বছর বয়সী নিজের ভাইকে হারালেন রূপসা চ্যাটার্জী! সবচেয়ে কাছের মানুষকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ অভিনেত্রী

মাত্র ২৪ বছর বয়সেই নিভে গেল এক তরতাজা প্রাণ। হৃদরোগে (Cardiac Arrest) আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন অভিনেত্রী ‘রূপসা চট্টোপাধ্যায়’ (Rupsa Chatterjee) এর একমাত্র ভাই (Brother) রুদ্র। পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি, বয়সের তুলনায় অত্যন্ত পরিণত ও দায়িত্ববান এক যুবক। এই আকস্মিক মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ রূপসা ও তাঁর পরিবার। একমাত্র ভাইয়ের সঙ্গে কাটানো ছোটবেলার অজস্র স্মৃতি আজ যেন বুকের ভেতর হাহাকার তুলছে অভিনেত্রীর।

যদিও রুদ্র ছিলেন রূপসার জেঠুর ছেলে, কিন্তু সেই সম্পর্ককে কখনই মেনে নিতে পারেননি রূপসা। রূপসা তাঁকে সবসময় নিজের “একমাত্র ভাই” বলেই পরিচয় দিতেন। তাঁদের শৈশব কেটেছে একসঙ্গে যৌথ পরিবারের পরিবেশে। ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া, আড্ডা, আদর— সব কিছুই আজ শুধুই স্মৃতির অংশ। ভাইয়ের আকস্মিক চলে যাওয়াতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী।

রুদ্র মিডিয়া সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে ব্যবসায় যোগ দিয়েছিলেন। ঠিক ১ মে তাঁর ব্যবসায়িক জীবনের এক বছর পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ছন্দপতন। জানা গিয়েছে, আগের দিন সন্ধেয় সামান্য বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন রুদ্র। প্রাথমিকভাবে গ্যাসের সমস্যা ভেবে ওষুধ খেয়ে শুয়ে পড়েছিলেন। তবে পরদিন সকালে পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারেন, আর কিছুই ঠিক নেই, দেহ ঠান্ডা এবং নীল হয়ে গিয়েছে একেবারেই।

রূপসা জানান, এতদিন অন্যদের কাছ থেকে শুনেছিলেন কম বয়সে কাছের মানুষ হারানোর যন্ত্রণা, এবার নিজেই সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি। তিনি জানান রুদ্রর চলে যাওয়ার এই ঘটনা তাঁর জীবনে এক গভীর শিক্ষা দিয়ে গেল, “যে কোনও শারীরিক সমস্যাকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়! সেটা যতই ছোট মনে হোক না কেন। সময় মতো চিকিৎসা না করালে কী ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে, সেটা আজকে বুঝছি।”

ভাইয়ের সঙ্গে আবেগমাখা স্মৃতিগুলো ভেসে উঠছে রূপসার মনে। বললেন, “আমার পুরোনো কথা মনে থাকেনা, তাই রুদ্র সবসময় পুরনো কথা মনে করিয়ে দিত।” এখন থেকে তাঁকে আর কেউ কিছু মনে করিয়ে দেবে না। ভাই ভাগ্নেকে তাঁদের ছোটবেলার গল্প বলবে কথা ছিল, কিন্তু সেই দায়িত্ব এখন তাঁর একার কাঁধে এসে পড়েছে। নিঃসঙ্গতার বেদনাই যেন আজ রূপসার জীবনের সবচেয়ে বড় সত্যি।

Piya Chanda