জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্তে অটল পারুল! দাদু-ঠাকুমার ফন্দিতে বিচ্ছেদ থামল পারুল-রায়ানের! ঠাকুমার অসুস্থতা কি পারুল-রায়ানকে ফের কাছাকাছি আনবে?

জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ঠাকুমাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু দাদু কাউকেই ঠাকুরমার ধারে কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছেন না, উল্টে সবাইকে দোষারোপ করার সাথে সাথে পারুল আর রায়ানকে সব থেকে বেশি দোষী মনে করছেন তিনি। এদিকে মনের মধ্যে অনুশোচনায় দগ্ধ হচ্ছে পারুল, সে বারবার ভাবছে, কেন বিয়ে ভাঙার কথাটা এভাবে বলতে গেল।

একদিকে ভেতরে দাদু ঠাকুমার জন্য ভেঙে পড়েছেন অন্যদিকে বাইরে বসু বাড়ির সবাই রায়ান পারুলকে তাদের হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য অনেক কথা শোনাচ্ছে। পিসিমণি পারুলকে বলেন, একটু ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। পারুল জানায় এতদিন সে অপেক্ষায় করেছে কিন্তু এবার রায়ান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, এই অপেক্ষার কোন মানে নেই। সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে।

Parineeta, Zee Bangla, Bangla Serial, Uday Pratap Singh, Ishani Chatterjee, Surabhi Mallick, Parul, Rayan, Shireen, New Episode, পরিণীতা, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, উদয় প্রতাপ সিংহ, ঈশানী চ্যাটার্জী, সুরভি মল্লিক, শিরীন, নতুন পর্ব

দাদু রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েছেন, এমন সময় ঠাকুমা উঠে বসে বলেন তিনি নাটক করেছিলেন যাতে পারুল আর রায়ানের সিদ্ধান্ত বদল হয়। প্রথমে দাদু এই ঘটনায় একটু বিরক্ত হলেও, ঠাকুমা বোঝান যে এটা ছাড়া আর কোনও রাস্তা ছিল না। রায়ানের কথায় পারুলের আত্মবিশ্বাসে আঘাত লেগেছে ঠিকই কিন্তু মনে মনে সে রায়ানকে ভালোবাসে, তাই তাদের বিয়ে ভাঙতে দেওয়া যাবে না।

দাদু ডাক্তারকে বাড়ির লোকের কাছে মিথ্যে বলতে রাজি করান। সেইমতো ডাক্তার বাইরে গিয়ে বলেন, ঠাকুমার অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। সামান্য মানসিক চাপও তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে, কোনরকম আঘাত দেওয়া যাবে না আর সবসময় হাসিখুশি রাখতে হবে তাকে। এই কথা শুনে পারুল আর রায়ান বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসে।

পরদিন ইউনিভার্সিটিতে পারুল ও রায়ানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হয়, একদিকে দেখা যায় শিরীন খুব ভালো নম্বর পেয়ে পাস করেছে আর অন্যদিকে পারুলের নাম লিস্টের কোথাও নেই। এমনকি রায়ানের নামও নেই সেখানে। এই সুযোগে শিরীন ও তার বন্ধুরা অনেক কথা শোনায় তাদের দুজনকে। রায়ানের মনে পড়ে যায়, দাদু আগে থেকেই সতর্ক করেছিল, ফলাফল ভালো না হলে কপালে দুঃখ আছে।

Titli Bhattacharya