ছোট পর্দার অভিনেত্রী ‘অনিন্দিতা রায়চৌধুরী’র (Anindita Raychaudhury) জীবনে এখন একসঙ্গে চলছে অভিনয়ের ব্যস্ততা আর মাতৃত্বের চ্যালেঞ্জ। সদ্য তিন মাস বয়সী মেয়েকে ঘরে রেখে তিনি আবার ফিরেছেন ‘তেতুঁল পাতা’ (Tentulpataa) ধারাবাহিকে। তবে এই ফেরা যতটা আনন্দের, ঠিক ততটাই উদ্বেগে ভরা। কারণ, দীর্ঘক্ষণ সেটে থাকলেও তাঁর মন পড়ে থাকে সেই ছোট্ট মেয়ের দিকেই। আর তাই বাড়ির সিসিটিভিতেই এখন তাঁর চোখ এবং মন, শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে সেই ক্যামেরায় খোঁজ দিচ্ছে সন্তানের।
সাধারনত ধারাবাহিকের শুটিং মানেই দৈনিক প্রায় ১৪ ঘণ্টার ব্যস্ততা, মাসে বড়জোর একদিন ছুটি মেলে। এর মধ্যেই ঘর, মা, শাশুড়ি ও স্বামীর সহায়তায় মেয়েকে সামলে যাচ্ছেন অনিন্দিতা। বিশেষত রাতভর শুটিং হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। অভিনেত্রী নিজেই বলেন, শুটিং থেকে ফিরে অনেক সময় দেখেন, মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে স্বামী সুদীপও ঘুমিয়ে পড়েছেন। তবে সুদীপ নাকি মেয়েকে গান শুনিয়ে ঘুম পাড়াতে দারুণ পারেন।
এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পান অনিন্দিতা। মেয়েকে যথাযথ খাওয়াতে কোনও রকম খামতি রাখতে চান না তিনি। সকালবেলা বুকের দুধ পাম্প করে রেখে যান, আবার শুটিংয়ের সময়ও বিরতি নিয়ে দুধ পাম্প করে পাঠান। ফ্লোর থেকে নিয়ম করে আধ ঘণ্টা অন্তর বিরতি দেওয়া হয় তাঁকে, যাতে সন্তানকে খাওয়ানো যায়। তাঁর এই সদিচ্ছা এবং দায়িত্ববোধে ভর করেই চলছে নতুন জীবনের জোড়া যাত্রা।
তবে সদ্য মা হওয়ার মানসিক চাপ কিন্তু কম নয়। এমনিতেই ‘পস্টপার্টাম’ এর একটা রেশ, তার উপর সারা দিন মেয়েকে সরাসরি দেখতে না পারার যন্ত্রণা তাঁকে কুরে কুরে খায়। সিসিটিভি ক্যামেরায় মেয়েকে দেখে ন্যাপি বদলানোর সময় হয়ে গিয়েছে কিনা, কখন খাওয়াতে হবে, কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা, সেটা বুঝে ফোন করেও জানান দেন তিনি। এরকম অসংখ্য মুহূর্তে মাতৃত্বের সঙ্গে জড়িয়ে তাঁর অপরিসীম উদ্বেগ আর ভালোবাসা।
আরও পড়ুনঃ দুই দুইবার ক্যানসার জয়! কেমোথেরাপি নিতে ভয়! দেহে বাসা বাঁধছিল মারণরোগ, চিকিৎসকও বুঝতে পারেননি! — জীবনের লড়াইয়ে জিতে ফিরলেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী!
এই পরিস্থিতিতে অনেকেই বিরতি নিয়ে সন্তানকে বড় করেন, কিন্তু অনিন্দিতা চেয়েছিলেন সন্তানের পাশপাশি পেশাকেও বড় করতে। বর্তমানে ‘তেতুঁল পাতা’র পাশাপাশি ‘চিরসখা’ ধারাবাহিকেও অভিনয় করছেন অনিন্দিতা। একদিকে মাতৃত্ব আর অন্যদিকে পর্দার নিত্যনতুন চরিত্রের চাপ, সব মিলিয়ে অভিনেত্রী অনিন্দিতা রায়চৌধুরীর জীবনে এখন চলছে এক নতুন ভারসাম্য রক্ষার অধ্যায়। এই যাত্রা সহজ না হলেও, তিনি থেমে যাওয়ার পাত্রী নন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।