বিচ্ছেদের পথে বেরিয়ে বিয়ের সাজ! ভাড়া বাড়িতে নতুন সংসার পারুল-রায়ানের! পারুলকে সিঁদুর পরালো রায়ান, কিন্তু কেন? বিয়ের নাটক নাকি অজান্তে প্রেমের স্বীকৃতি?

জি বাংলার ‘পরিণীতা’তে (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় গুন্ডারা পারুলের উপর আক্রমণ করলে রায়ান এসে পড়ে, তারপর দুজনে গুন্ডাদের মেরে তাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এই মারপিটে রায়ানের হাত কেটে গিয়ে রক্তপাত শুরু হয়। পারুল উদ্বিঘ্ন হয়ে পড়ে, রায়ানের এই অবস্থা দেখে। রায়ান উল্টে পারুলকে বলে, সে খুবই আনরোমান্টিক মানুষ।

যেখানে সিনেমায় হিরো হিরোইনকে বাঁচাতে গিয়ে চোট লাগল, হিরোইন নিজের ওড়না ছিঁড়ে হাত বেধে দেয়। আর পারুল তাকেই কথা শোনাচ্ছে। এরপর জোর করে পারুল রায়ানকে নিয়ে এক ডাক্তারের বাড়ি উপস্থিত হয়। অনেক অনুরোধ করে তাঁর ঘুম ভাঙিয়ে রায়ানের চিকিৎসা করায় পারুল। এত রাতে দুজনের এমন অবস্থা দেখে ডাক্তারবাবু জিজ্ঞেস করতেই, পারুল সবটা খুলে বলে।

তিনি এই রাতের জন্য পারুলদের নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিতে রাজি হন, কিন্তু তাঁর স্ত্রী বিরোধ করে। তিনি বলেন, পারুল রায়ানের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই, এমনকি পারুলের গায়ে কোনও বৈবাহিক চিন্হ নেই। ফলে আবারও দুজনকে অনিশ্চিয়তার মুখে পড়তে হয়। রাতটুকু দুজনে কোনও রকমে রাস্তার ধারে একটা বেঞ্চে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। সকাল হতেই রায়ান বিরক্ত হয়ে বলে, এভাবে আর থাকা যাচ্ছে না বলে।

পারুল বুঝতে পারে যে কেনও তাদের কেউ আশ্রয় দিচ্ছে না আর ভবিষ্যতে কি করলে আশ্রয় পাওয়া যাবে। তাড়াতাড়ি করে পারুল শাঁখা-সিঁদুর কিনে আনে। রায়ান দেখে চমকে যায়, পারুলকে বলে যেখানে দুজনে বিয়ে ভাঙতে বাড়ি ছেড়েছে, সেখানে এসব কেনও! পারুল বলে, এমনটা না করলে তাদের কেউ বাড়ি ভাড়া দেবে না। রায়ান এরপর পারুলকে শাঁখা-পলা আর সিঁদুর পরিয়ে দেয়।

মুহূর্তেই দুজনে অতীতে ফিরে যায় একে অপরের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে। ঘোর কাটতেই দুজন দুজনকে স্পষ্ট করে দেয়, এটা একটা নাটক। এরপর খুঁজতে খুঁজতে দুজনে একটা বাড়ি ভাড়া পায়, সেখানে সবাই তাদের আন্দোলনের সূত্রে টিভিতে দেখে মুগ্ধ। এক কথায় দুজনে বাড়ি ভাড়া পেয়ে যায়, কিন্তু টাকার জোগাড় হবে কি করে!

আরও পড়ুনঃ সিঁথিতে সিঁদুর, লাল বেনারসিতে আদর্শ কনে ‘লাভ বিয়ে আজকাল’-এর শ্রাবণ! অসুস্থতার জেরে সিরিয়াল ছাড়লেও মন থেকে মুছে যাননি! এবার সবার নজরের আড়ালে চুপিসারে বিয়ে করলেন মৌমিতা! পাত্রটি কে?

এদিকে বসু বাড়িতে দাদুর বন্ধু ষষ্ঠী দাদু এসে খবর দেন, ডাক্তারের মুখে তিনি পারুল-রায়ানের কথা শুনেছেন। একাধিক জায়গায় সন্মানহানী হচ্ছে দেখে, দাদু রায়ানের বাবাকে আদেশ দেন পারুলকদের খুঁজে ফিরিয়ে আনতে। তিনি গেলে পারুল-রায়ান ফিরিয়ে দিয়ে বলে দাদুকে আসতে হবে তাদের ফেরাতে। সেই মতো দাদু গেলে, এক প্রকার অপমান করেই তাঁকেও না করে দেয় দুজনে।