গলায় লালপদ্মের মালা, মাথায় সোনার মুকুট, আলো-আঁধারিতে ধরা পড়ল এক অনন্যা রূপ। মেরুন শাড়ি আর গভীর চোখের চাহনিতে যেন পুরাণের দেবীমূর্তিও ম্লান হয়ে যায়। সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে এই রূপেই ধরা দিলেন অভিনেত্রী ‘বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়’ (Basabdatta Chatterjee)। ছবিটি সামনে আসতেই নেটপাড়ায় শুরু হয়েছে চর্চা—এ কি নতুন কোনও ধারাবাহিকের চরিত্রে দেবীরূপে অবতারণা?
উল্লেখ্য, বাসবদত্তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকে জি বাংলার পর্দায়। তারপর অভিনয় থেকে কিছুটা আড়ালে ছিলেন তিনি। এদিনের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক অন্ধকার ঘরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বাসবদত্তা। তাঁর পিছনে পুরনো দিনের কাঠের আয়না, পাশে জ্বলছে মোমবাতি, আর মাটিতে রাখা রয়েছে একটি পদ্মফুল।
এই অনন্য মেজাজে ফ্রেমবন্দি হওয়া মুহূর্তটি যেন সময়কে থামিয়ে দিয়েছে। অনুরাগীদের চোখে বাসবদত্তার এই নতুন রূপ একেবারে দেবী লক্ষ্মীর মতোই স্নিগ্ধ এবং পবিত্র। অভিনেত্রী ছবিটির ক্যাপশনে শুধু একটি শব্দই লেখেন—”দেবদর্শন”। অথচ এতেই অনুরাগীদের মনে জেগেছে হাজারো প্রশ্ন। অনেকেই ভাবছেন, অভিনেত্রী কি তবে নতুন কোনও পৌরাণিক গল্পে অভিনয় করতে চলেছেন?
দীর্ঘদিন পর কি টেলিভিশনে ফিরছেন একেবারে দেবীরূপে? সেই সম্ভাবনা যেমন উড়িয়ে দেওয়া যায় না, তেমনই এবার সামনে এল সত্যিটাও। আসলে এটি কোনও ধারাবাহিকের চরিত্র নয়, বরং একটি বিশেষ ফটোশুটের অংশ। দুর্গাপুজোর থিম উপলক্ষে প্রতাপাদিত্য রোডের ত্রিকোণ পার্ক পুজো কমিটির তরফ থেকে করা হয়েছে এই ফটোশুট।
আরও পড়ুনঃ “ক্যান্সারে আক্রন্ত হন বাবা, ছোটবেলায়ই শিখেছিলাম কিভাবে সংসার টানতে হয়”, “অভিনয় নয়, কর্তব্য বেছে নিয়েছিলাম”— পর্দার আড়ালে এক বাস্তব যোদ্ধা দিতিপ্রিয়া রায়! অভিনেত্রীর জীবনের গল্প ছুঁয়ে যাবে হৃদয়!
দেবী লক্ষ্মীর ভাবনাতেই এই অনন্য সাজে সেজেছিলেন অভিনেত্রী। পূজোর আবহেই এই ধরণের সৃজনশীল কাজকে ঘিরে নেট মাধ্যমে তৈরি হয়েছে অন্যরকম এক চর্চা। এই ফটোশুটের মাধ্যমে যেন আবারও নিজের সৌন্দর্য ও অভিনয়প্রতিভার ঝলক দেখালেন অভিনেত্রী। ছবিটি দেখে দর্শকদের একটাই কথা—এ রূপ শুধু ফ্রেমে নয়, স্মৃতিতেও অমলিন হয়ে থাকবে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।