জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বি’ষাক্ত গ্যাসে লুটিয়ে পড়ল গোপাল-পারুল! মৃ’ত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে রুক্মিণী-গোপালের প্রেমের স্বীকৃতি! ষড়যন্ত্র চেপে দিতে মরিয়া শিরীনের মা! শিরীনের মায়ের মুখোশ খুলবে পারুল! পারুল আর একা নয়, পাশে রায়ান-রুক্মিণী!

জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় বি’স্ফো’র’ণের খবর পেতেই রায়ান আর রুক্মিণী গাড়ি নিয়ে হাজির হয় ন্যাড়া-গোয়ালে। পারুল চিন্তায় পড়ে যায়, গাড়ি থেকে নামলেই তো আর ওরা প্রাণে বাঁচবে না! সবাই চিৎকার করে ছাদ থেকেই বারণ করতে থাকে, তাঁরা যেন গাড়ি নিয়ে ফিরে যায়। রায়ান আর রুক্মিণী কিছুই শুনতে পায় না, উল্টে গাড়ি নিয়ে এগিয়ে আসতে থাকে। পারুল এবার আর কোনও রাস্তা না দেখে ঠিক করে সে নিজে গিয়েই প্রাণ বাঁচাবে তাঁদের।

গোপালও বলে, ওই গাড়িতে তার ভালোবাসার মানুষটাও আছে তাই সেও যাবে পারুলের সঙ্গে। এরপর পারুল কিছু বাঁশ জোগাড় করে রণপা তৈরি করে। দুজনে ওই রণপা পরেই নিচে যায় আর রায়ানদের থামানোর চেষ্টা করে। কিছুতেই ওরা থামে না, উল্টে পারুলদের দেখে গাড়ি দিয়ে নামতে যায়। পারুল আর গোপাল ওদের আটকাতে যায় রণপা খুলে। কিন্তু মুহূর্তেই বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে নিস্তেজ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এক মুহূর্তও দেরি না করে, রায়ান-রুক্মিণী পারুলদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।

Parineeta, Zee Bangla, Bangla Serial, Uday Pratap Singh, Ishani Chatterjee, Surabhi Mallick, Parul, Rayan, Shireen, New Episode, পরিণীতা, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, উদয় প্রতাপ সিংহ, ঈশানী চ্যাটার্জী, সুরভি মল্লিক, শিরীন, নতুন পর্ব

এরপরেই গ্রামে রেসকিউ টিম এসে পৌঁছায় আর সবাইকে উদ্ধার করে অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পারুল আর গোপালের খুব চিন্তা করতে থাকেন দুজনের জন্য। অন্যদিকে গ্রামের যে সাংবাদিক বি’স্ফো’রণ নিয়ে খবর করেছিল, তাঁকে শিরীনের মায়ের লোকেরা হুমকি দিয়ে সেই প্রমাণ ডিলিট করতে বাধ্য করে। তার সঙ্গে এটাও জানায় অন্যান্য গ্রামে অনেক লোক মারা গেছে, কিন্তু ন্যাড়া-গোয়ালের সবাই পারুলের জন্য বেঁচে গেছে।

শিরীন নিজের মাকে সাবধান করে, যতই খবর চেপে রাখুক তাও পারুল চুপ থাকবে না। পারুল গ্রামের লোকেদের ক্ষেপিয়ে তুলবেই। শিরীনের মা বলেন, তার আগেই গ্রামের মানুষদের মুখ তিনি বন্ধ করে দেবেন। এদিকে হাসপাতালে পারুল আর গোপালের চিকিৎসা চলছে। ডাক্তার এসে জানান যে তিনি সব কিছুই করেছেন, কিন্তু পারুল বা গোপাল কিছুতেই সাড়া দিচ্ছে না। কান্নায় ভেঙে পড়ে রুক্মিণী। ঠাকুরের কাছে সে প্রার্থনা করতে থাকে, গোপালকে যেন তিনি ফিরিয়ে দেন।

দিদির চোখের জল দেখে রায়ানও নিজেকে আটকাতে পারে না, আর পারুলের জন্য প্রার্থনা শুরু করে। এরপরেই খবর মেলে দুজনের জ্ঞান ফিরেছে। রুক্মিণীকে দেখেই গোপাল বলে, বিদেশ না গিয়ে সে কেন ফিরে এলো। রুক্মিণী বলে, বিদেশের সুযোগ বারবার আসবে কপালে থাকলে, কিন্তু গোপালকে হারালে তো আর পাবে না! এদিকে পরুলও মনে মনে ভাবে, রায়ান মুখে বলে ভালোবাসে না কিন্তু বিপদে ঠিক ছুটে আসে।

পারুল রুক্মিণীকে প্রশ্ন করে, কি করে জানলো তাঁরা এই খবর? রুক্মিণী একটা ভিডিও দেখে এই খবর জেনেছে, সেটা খুঁজতে গিয়েই দেখে আর নেই ওটা! এমনকি কোনও খবরের চ্যানেলেই এতবড় বিস্ফোরণের খবর নেই। পারুল বুঝে যায়, কেউ ইচ্ছা করেই চেপে দিতে চাইছে। সিদ্ধান্ত নেয় যে তাঁদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেবেই। ভয়ে নিজেই দোষ স্বীকার করেন শিরীনের মা। তিনি ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলে, পারুল নিতে অস্বীকার করে।

Tolly Tales