জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্যর সামনে মীরা স্বীকার করে নেয় নিজের অপরাধ। অর্ক রীতিমতো রেগে যায়, অপর্ণাকে মীরার জন্যে ভুল বুঝে। কোম্পানি থেকে বের করে দিতে চায় মীরাকে অর্ক, কিন্তু এখনও মীরার একটা কাজ বাকি আছে বলে আর্য। তারপর মীরার হাত ধরে অফিস থেকে বেরোনোর পথে মুখমুখি হয় লিঙ্কটি।
কিঙ্কর বলে, সে ভাবতেই পারছে না এমন একটা ঘটনা ঘটেছে। আর্য হাসতে হাসতে বলে, কিঙ্কর জানে না এমন ঘটনা নেই। পৃথিবীর তাবড় তাবড় লোকেদের বুদ্ধিমত্তায় হারিয়ে দিতে পারে কিঙ্কর, আর অফিসের সামান্য বিষয় তার অজান্তেই হয়ে গেল? কিঙ্কর বলে, মানুষ মাত্রই ভুল হয়। কিন্তু আর্য পাল্টা বলে, মানুষ আর কিঙ্করের মধ্যে পার্থক্য আছে! এরপর থানায় গিয়ে নিজেদের অভিযোগ তুলে নেয় আর্য।

অপর্ণাকে ঘটনার সত্যতা বলতে চায় আর্য, কিন্তু অপর্ণা জানিয়ে দেয় যে তার থেকে যেন এরপর আর্য দূরেই থাকে। তারপর দেখা যায়, অপর্ণা বাবাকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেই পাড়ায় খুব ভিড় দেখতে পায়। কাছে যেতেই দেখে, আর্যরা সেখানে ক্ষমা চাইছে অপর্ণার পরিবারের সন্মানহানীর জন্য। তারপর মীরা স্বীকারোক্তি দেয়, যে এতো কম সময়ে অপুর উন্নতি আর নিজের জায়গা হারানোর ভয়ে এই কাজ সে করেছে।
পাড়ার লোক মীরার উপর চড়াও হতে যায়, কিন্তু অপু আটকে দেয়। অপু পাড়ার লোকেদের বলে, মীরা নাহয় তাঁকে কিছুদিন চিনেছে কিন্তু পাড়ার লোকেরা তো জন্ম থেকেই চেনে। তাহলে কেন পুলিশের সামনে অপুর পক্ষ নিতে পারেনি? মীরা তো তাও দেরি করে হলেও নিজের দোষ স্বীকার করেছে। রাতে অপুর বাড়িতে হাজির হয় আর্য, সতীনাথের কাছে ক্ষমা চাইতে।
আরও পড়ুনঃ জয়জিৎ-শ্রেয়ার ডিভোর্স হচ্ছে! সম্পর্কের টানাপোড়েন, স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব?— জয়জিতের ডিভোর্স নিয়ে মুখ খোলার পরেও ধোঁয়াশা! বিচ্ছেদের জল্পনায় সিলমোহর না দিয়ে কী বললেন তিনি?
ক্ষমা চেয়ে আর্য বলে, এই সম্মানহানীর বিনিময় সে যদি কিছু করতে পারে তো ভালো লাগবে। অপুর বাবা ইচ্ছে প্রকাশ করেন, এবার থেকে যেন অপু আর ঐ অফিসে কাজ না করে। অপু রাজি হয়ে যায়, বাবার এই সিদ্ধান্তে। বাড়ি ফিরে যায় আর্য, অর্ক সবটা জেনে একটা ভালো কর্মচারী হারানোর দুঃখ প্রকাশ করে। আর্য বলে, অপর্ণাকে হারানো যাবে না। রাজনন্দিনী শাড়িই হবে তুরুপের তাস!