জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য অন্যমনস্ক হয়ে যেতেই হাত থেকে গোপাল মূর্তি নিচে পড়তে থাকে কিন্তু অপর্ণা ঠিক সময়ে সেটা ধরে ফেলে। এরপর দুজনে মিলে মূর্তি স্থাপন করে। মীরা হিংসায় জ্বলে পুড়ে যায়, কারণ খানিক আগেই মানসী তাঁকে মূর্তি স্পর্শ করতে বাধা দিয়েছিল এই বলে যে সিংহ রায় বাড়ির বউ ছাড়া কেউ একসঙ্গে গোপাল প্রতিষ্ঠা করতে পারে না।
এদিকে আর্য-অপর্ণা মূর্তি স্থাপন করলে তাদের উপর পুষ্পবৃষ্টি হতে থাকে, এবং মুহূর্তে ঘরে যায় এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। রাজনন্দিনীর ঘরের দরজা আপনাআপনি সজোরে খুলে যায়। সবাই অবাক হয়ে যায় এই ঘটনায়, আর অপর্ণা চুম্বকের মতো দিক জ্ঞান শূন্য হয়ে সিঁড়ি বেয়ে সেই ঘরের দিকেই যেতে থাকে। অপর্ণার মা-বাবা গিয়ে তাকে বাধা দিলে, হঠাৎ করে পুরোনো স্মৃতির ঝলক ফিরে আসে।

অপর্ণা দেখতে পায় যে সিঁড়ি দিয়ে একটা পুতুল গড়িয়ে পড়ছে। মাথা ঘুরে যায় অপর্ণার, শারীরিক অবস্থা ঠিক না থাকায় তারা বাড়ি যাবে ঠিক করে। আর্য প্রথমে তাঁদের বাড়ি ছেড়ে দেবে বলেও মীরা শেষপর্যন্ত তাদের সঙ্গে যায়। হওয়ার আগে রাজলক্ষ্মী অপর্ণার মাথায় ঠাকুরের ফুল ছুঁইয়ে দেন। বাড়ি থেকে বেরিয়েই অপর্ণাকে খোঁচা দিয়ে মীরা বলে, নাটক করে অপর্ণা আর্যর বেডরুমে কেন যাচ্ছিল।
অপর্ণা পরিস্থিতি বর্ণনা করলেও মীরা বিশ্বাস করে না, উল্টে তাকে নিজের জায়গায় থাকতে বলে। অপর্ণাও রেগে গিয়ে মীরাকে নিজের জায়গা চিনিয়ে দেয়। মীরার সঙ্গে না গিয়ে তারা নিজেদের মতো বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে আর্য চিন্তিত হয়ে ফোন করলে, অপর্ণা জানায় যে একজন জুনিয়র কর্মচারীর এত খোঁজ নেওয়ার দরকার নেই, তার ঠিক আছে আর বাড়ির পথেই আছে।
আরও পড়ুনঃ “তোকে ডোনেশন দিয়ে পড়াশোনা করিয়েছি, পড়াশোনা কর, না হলে খুন্তি নাড়তে হবে”— বাবার সেই সতর্কবানী শোনালেন দেব! তবে কি এমন কঠিন লড়াইয়ের পথ পেরিয়ে আজকের সুপারস্টার হয়ে উঠেছেন অভিনেতা?
বাড়ি ফিরতেই অপর্ণাদের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পাড়ার লোকেদের। অপর্ণা একটু সুস্থ হতেই রুম্পার সঙ্গে পড়ার পুজোতে যায়। অন্যদিকে আর্য কিছুতেই বুঝতে পারে না, রাজনন্দিনীর সঙ্গে কী যোগ আছে অপর্ণার যে এতদিনের বন্ধ দরজা নিজের থেকে খুলে গেল আর অপর্ণা জ্ঞান হারিয়ে সেদিকেই যাচ্ছিল। রাজলক্ষ্মী বলেন, রাজনন্দিনী জানান দিচ্ছে যে অপর্ণাই আর্যর ভবিষ্যৎ।