জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণা আর হিন্দোল একটা ক্যাফেতে গিয়েছে। এদিকে ওদের পিছু নিয়ে আর্যও সেখানে পৌঁছে গেছে। যদিও আর্য গাড়ির মধ্যে বসেই অপেক্ষা করে, ভেতরে ঢুকে কথোপকথন শোনা চেষ্টা করে না। ওদিকে ভেতরে অপর্ণাকে হিন্দোল একটা গোলাপ ফুলের তোড়া প্রথম একান্ত মুহূর্তের স্মৃতি হিসেবে উপহার দেয়। অপর্ণা সেটা নিতে চায় না, হিন্দোলও বলে যে বিয়ের আগে অস্বস্তি বোধ করলে অপর্ণা যেন সেটা জানায়।
অনেকক্ষণ ভাবনা চিন্তা করার পর অবশেষে অপর্না হিন্দোলকে বলেই দেয় যে, এই বিয়েটা সে করতে পারবে না। কারণ অন্য একজনকে ভালোবাসে সে আর এই মুহূর্তে তার নাম জানাতে পারবে না। অপর্ণা এটাও বলে যে আজ পর্যন্ত বাবার অমতে কিছু করেনি। তাই বিয়েটা সে ভাঙতে পারবে না বরং হিন্দোল পারবে। অপর্ণা অনুরোধ করে, বিয়ে করে তিনটে জীবন নষ্ট করার থেকে বিয়েটা না করাই ভালো। তাই হিন্দোল যেন অপর্ণার বাবাকে কিছু একটা বলে বিয়েটা ভেঙে দেয়।
হিন্দোলও কথা দেয় যে বিয়ে না করতে পারলেও সারা জীবন অপর্ণার বন্ধু হিসেবে পাশে থাকবে। এই কথা শুনে খুব খুশি হয়ে যায় অপর্ণা। ক্যাফে থেকে হাসিমুখে দু’জনকে বেরোতে দেখে আর্য মনে মনে ভাবে, অপর্না তার সঙ্গে সব সময় কাঁদতো। কিন্তু হিন্দোলের সঙ্গে সুখী আছে। বাড়িতে গিয়ে একরাশ হতাশা নিয়ে আর্যকে বসে থাকতে দেখি রাজলক্ষ্মী, অপর্ণারদের বাড়ি গিয়ে বিয়েটা আটকানোর চেষ্টা করতে চায়। আর্য অনেক বাধা দিলেও তিনি শোনেন না।
অন্যদিকে সন্ধ্যে হতেই অপর্ণা অফিস থেকে ফিরে অনেকদিন বাদে হালকা বোধ করছে। অপেক্ষা করছে কখন হিন্দোল এসে সেই কথাটা বলবে। হিন্দোল অবশেষে আসে ঠিকই, কিন্তু জানায় যে তার মা তিন দিন বাদে বিয়ের তারিখ পাকা করে ফেলেছে। এই কথা শুনে অপর্ণার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে, বিশ্বাসঘাতকতার আঘাত সে সহ্য করতে পারে না। হিন্দোলের কাছে জবাব চায় যে এটা কেন করল সে!
আরও পড়ুনঃ খ্যাতির আলো চারপাশে ছড়িয়ে পড়লেও, মুখ লুকিয়ে বেড়াতেন তাপস পাল! জনপ্রিয় অভিনেতা হওয়ার পরেও কেন বারবার মুখ লুকিয়ে থাকতে হত তাঁকে? যিনি আজও স্মৃতিতে অমলিন, তাঁর জীবনের কী ছিল সেই অজানা অধ্যায়?
হিন্দোল অহংকারের বসে বলে যে অতীতে যাঁর সঙ্গেই সম্পর্ক থাকুক না কেন, অপর্না তাকে পেয়ে ভুলে যাবে। হিন্দোল চলে যেতেই রাজলক্ষ্মী আসেন। অপর্ণার হাত ধরে অনুরোধ করে আর্যর জীবনে ফিরে আসার। তিনি জানান আর্য অতীতে অনেক আঘাত পেয়েছে, অপর্ণা ছেড়ে চলে গেলে সে শেষ হয়ে যাবে। ধীরে ধীরে অপর্ণার মাও বুঝতে শুরু করেছেন যে মেয়েকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন হিন্দোলের সাথে বিয়ে দিয়ে।