জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, একদিকে অপর্ণার গায়ে হলুদ হচ্ছে। অন্যদিকে আর্য বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অপর্ণাকে কল্পনা করছে নিজের কাছে। হঠাৎ সন্তু দেখতে পায় আর্যকে। তড়িঘড়ি করে গিয়ে অপর্ণাকে আড়ালে ডেকে সেই কথাই বলতে যাবে, এমন সময় হবু স্ত্রীর সঙ্গে অন্য লোক কেন কথা বলবে এই নিয়ে রেগে যায় হিন্দোল আর তার মা।
সন্তুকে অনেক খারাপ কথা শোনাতে থাকে দু’জন মিলে। হিন্দোলের মা বলেন, যেখানে একসময় অপর্ণার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল তারপরেও আজকের দিনে কি করে সন্তু এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত! অপর্ণার মা জানায় সন্তু তাদের খুব কাছের এবং অপর্ণার বন্ধুও। দু’জন বন্ধু কথা বলছে এর মধ্যে কিছু আপত্তিকর তারা দেখতে পাচ্ছে না। অদ্ভুত রকম আচরণ করে হিন্দোল বলে, এটাই তাদের কাছে আপত্তিকর, কারণ এমনটা তাদের বাড়িতে হয় না।
সন্তু অপমানিত হয়ে চলে যায়। তবে, যাওয়ার আগে অপর্ণার মাকে বলে যায় যে, এর থেকে তার সঙ্গে বিয়েটা হলেই অপর্ণা সুখী হতো। রাস্তায় বেরিয়ে দেখে আর্য তখনো দাঁড়িয়ে আছে। আর্যর কাছে ক্ষমা চেয়ে কাঁদতে কাঁদতে চলে যায় সন্তু। আর্য কিছুই বুঝতে পারে না। এদিকে বিকেল হতেই অপর্ণা বিয়ের সাজে তৈরি হয়ে নিয়েছে। সেও নিজের আশেপাশে আর্যকে কল্পনা করছে।
মাকে দেখে স্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করে অপর্না। অপর্ণার মা হঠাৎ বলেন, তার ধারণা ছিল না যে আর্যকে ছাড়া অপর্ণা কারোর সঙ্গে সুখী হবে না। তিনি জানান হাতে একদম সময় নেই, অপর্ণা যেন পালিয়ে যায়। অপর্ণা কিছুই বুঝতে পারে না। তার মা বলে, নিজের জীবনে যে ভুলটা করেছে মেয়ের জীবনে সেটা হতে দেবেন না। ভালো ঘরে বিয়ে মানেই সুখী হওয়া যায় না। পাশের লোকটাকেও তেমন হতে হয়।
আরও পড়ুনঃ ২০০ পর্ব পার করেই বাড়ছে আর্য আর হিন্দোলকে নিয়ে বিতর্ক! ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এ বিয়ের আসরে আসছে বড় চমক, হিন্দোলের হাত ধরেই ফাঁস হবে কিঙ্করের লুকিয়ে রাখা অতীত! শেষ পর্যন্ত কে পাবে অপর্ণার হাত?
আর যে লোকটা সারাদিন দাঁড়িয়ে রয়েছে একবার অপর্ণাকে দেখার জন্য, তার থেকে ভালো লোক আর হয় না। অপর্ণা ফোন করে আর্যকে, বলে যেখানে প্রথম ভালবাসার কথা জানিয়েছিল সেখানেই যাচ্ছে। এরপর আর্য দেখে অপর্না ছুটে ছুটে আসছে। এসে সে বলে সব বাধা ছিন্ন করে আর্যর কাছে এসেছে সারাজীবনের জন্য। আর্য অদ্ভুতভাবে অপর্ণাকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যায় বিয়ের আসরেই!