প্রথম বাড়ি শব্দটা যত সহজ, অনুভূতিটা ততটাই গভীর। নিজের উপার্জনে মাথার উপর একটা ছাদ তোলা, সেই বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে উৎসব পালন—এ যেন জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। বিশেষ করে, যাদের স্বপ্ন ছিল টিভির পর্দায় আসার, অভিনয়ের জগতে নিজের জায়গা করে নেওয়ার, তাদের কাছে নিজের বাড়িতে প্রথম পূজোর আনন্দ এক অন্য মাত্রা পায়। সেই আনন্দই ভাগ করে নিয়েছেন টেলি-অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি।
একসময় তিনি ছিলেন একেবারে সাধারণ এক মেয়ে, যিনি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন পরিবারের সঙ্গে। কিন্তু আজ আরাত্রিকা পরিচিত মুখ বাংলা টেলিভিশনের জগতে। নিজের পরিশ্রম আর প্রতিভার জোরে তিনি একের পর এক ধারাবাহিকে অভিনয় করে জায়গা করে নিয়েছেন দর্শকের মনে। বহু বছরের পরিশ্রমের ফলস্বরূপ আজ তাঁর নিজের একটি বাড়ি হয়েছে। আর সেই বাড়িতেই এ বছর প্রথমবার তিনি পালন করলেন লক্ষ্মী পুজো। স্বপ্নপূরণের আনন্দে ভরপুর ছিল সেই দিনটা।
আরাত্রিকা ইতিমধ্যেই টেলিভিশনের বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন—যেমন মিঠিঝোরা, খেলনাবাড়ি, অগ্নিশিখা, এবং বর্তমানে তিনি জোয়ারভাটা করছেন জি বাংলাতে। প্রতিটি চরিত্রেই তিনি নিজের অভিনয়ের ছাপ রেখেছেন। দর্শকদের ভালোবাসা এবং সমর্থনই তাঁর আজকের প্রেরণা। নিজের কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও দর্শকের ভালোবাসা তাঁকে আরও দৃঢ় করে তুলেছে, জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর মতে, “দর্শকের ভালবাসাই আমার আসল পুরস্কার, যা আমাকে আরও এগিয়ে যেতে শক্তি দেয়।”
লক্ষ্মীপুজোর দিন নিজের হাতে মা-বাবার সঙ্গে মিলেই পুজোর সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছিলেন আরাত্রিকা। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ছোটবেলায় সবকিছুই মা করতেন, তিনি শুধু পাশে দাঁড়িয়ে দেখতেন। কিন্তু এখন তিনি বুঝেছেন, একা হাতে কোনও কিছুই সম্ভব নয়। তাই এই বছর মায়ের সঙ্গে একসঙ্গে পুজোর কাজে হাত লাগিয়েছেন তিনি। মা-মেয়ের সেই মুহূর্তগুলো ছিল ভীষণ আবেগঘন।
আরও পড়ুনঃ সৌমিতৃষা থেকে শ্বেতা, জ্যোতির্ময়ী একের পর এক ছোট পর্দার নায়িকা সুযোগ পাচ্ছেন বড় পর্দায়! রূপবতী, গুণবতী হওয়া সত্ত্বেও কেন বড় পর্দায় দেখা মিলছে না শ্যামৌপ্তির? অভিনেত্রী নিজেই জানালেন আসল কারণ
নিজের প্রথম বাড়ি, প্রথম পূজো—সব মিলিয়ে এই বছরের লক্ষ্মীপুজো ছিল আরাত্রিকা মাইতির জীবনের এক স্মরণীয় অধ্যায়। নিজের জীবনের এই বিশেষ মুহূর্ত তিনি ভাগ করে নিয়েছেন ভক্তদের সঙ্গে। তাঁর কথায়, “এই আনন্দটা ভাষায় বোঝানো যায় না, শুধু অনুভব করা যায়।” সাধারণ এক মেয়ের স্বপ্ন থেকে তারকাখ্যাতি—আরাত্রিকার এই পথচলা প্রমাণ করে, পরিশ্রম ও অধ্যবসায় থাকলে স্বপ্ন একদিন সত্যি হয়ই।