জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

শালীনতা বনাম স্বাধীনতা নিয়ে সংঘাত, নাচগান নিয়ে দাদু-নাতির তুমুল তর্ক! দাদুর রাগে থমথমে বসু বাড়ি, পারুলের প্রতিবাদে ভাঙল নীরবতা!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, সিঁদুর খেলা আর বরণ শেষ মা দুর্গাকে বিসর্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বসু বাড়ি থেকে। সবাই বিসর্জন যাত্রায় অংশ নিলেও দাদু আর ঠাম্মি বাড়িতেই থেকে যায়। রায়ান ঠাম্মির কানে কানে বিসর্জন নিয়ে তার কি কি প্ল্যানিং রয়েছে সেগুলো বলে। রায়ান এরপর অনুরোধ করে যেন দাদু কিছু জানতে না পারেন, আর তাকে ঘরে আটকে রাখেন ঠাম্মি। সেই মতো দাদুকে ঘরে নিয়ে চলে যান ঠাম্মি।

যদিও দাদু বারবার বলতে থাকেন যে, বাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জন তিনি দেখতে চান। এদিকে বাইরে সবাইকে চমকে দিয়ে রায়ান বিসর্জনের জন্য ব্যান্ড পার্টির আয়োজন করে। সবাই নাচে মেতে ওঠে, রায়ানের বাবা আর পিসি শুধু ভয় পান যদি দাদু যানে তাহলে আর রক্ষে নেই। কিন্তু রায়ান আশ্বাস দেয় যে দাদু ঘরবন্দী আছেন। যদিও দাদুর ঘর থেকে বেশ ভালো জোরেই বাইরের গান বাজনার আওয়াজ শোনা যায়।

দাদু জানতে চান এতো শব্দ কিসের, ঠাম্মি বলেন নিশ্চই পড়ার ঠাকুর বিসর্জনে বেরিয়েছে তাই। এই বলে ঠাম্মি নমস্কার করতে চলে যান। সেখানে গিয়ে তিনিও নাচে মেতে ওঠেন। অন্যদিকে গোপাল আবার ভিড়ের মাঝে রুক্মিণীকে কল্পনা করতে থাকে। পারুল ভাবে এরম করেই যেন বসু বাড়ির সবাই হাসিখুশি থাকে। দাদু নাড়ুকে ফোন করে ডেকে পাঠান। তারপর নাড়ু তাকে নিয়ে আসলে তিনি বাড়ির লোকেদের এই অবস্থা দেখে রেগে আগুন হয়ে যান।

তাড়াতাড়ি বিসর্জন দিয়ে সবাইকে বাড়ি ফিরে আসতে নির্দেশ করেন তিনি। সবাই বাড়ি ফিরে আসে ভয়ে ভয়ে। দাদু সেখানে পুজোর কম্পিটিশনের বিজেতা ঘোষণা করেন পারুলকে। রায়ান প্রতিবাদ করে বলে, আর আয়োজনে সবাই প্রাণ খুলে আনন্দ করতে পেরেছে তাহলে সে কি করে হেরে গেল! দাদু জানান পারুলের আয়োজনে শালীনতা ক্ষুন্ন হয়নি যেটা রায়ানের ক্ষেত্রে হয়েছে, রায়ান এখনও তার হাতে পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যই নয়।

পারুল নিজের পুরস্কার নিতে অস্বীকার করে বলে, বাড়ির লোকেরা নিজেদের মধ্যে একটু নাচ-গান করলেই যদি দাদুর আপত্তি থাকে, তাহলে পারুলও বাড়ির লোকেদের মতোই দোষী। সেও সবার সঙ্গে নেচেছে তাই পুরস্কার নিতে পারবে না। পারুল আরও বলে দাদুকে সবাই ভয় পেয়ে কথা শোনে শ্রদ্ধা করে নয়। দাদুর এই কঠোর মনোভাবের জন্যই সবার সঙ্গে মনের দূরত্ব বাড়ছে। পারুল চায় সবাই প্রাণ খুলে বাঁচতে পারুক।

পারুলের এই কথা শুনে দাদু খুব রেগে যান এবং স্পষ্ট জানিয়ে দেন এরপর থেকে বাড়ির কোনও ব্যাপারে তিনি থাকবেন না। রাতে পারুল হঠাৎ খবর পায়, গোপালকে বিয়ে দিচ্ছে তার বাড়ির লোক। রুক্মিণী নাকি বিদেশে যাওয়ার আগে ডিভোর্স পেপারে সই করে দিয়েছে। পারুলের সন্দেহ হয় যে নিশ্চয়ই কোনও চক্রান্ত আছে। কারণ একসঙ্গে থাকতে থাকতে গোপালের প্রতি রুক্মিণীর অনুভূতি তৈরি হয়েছিল। বিয়েটা আটকাতে উঠেপড়ে লাগে পারুল।

Piya Chanda