জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণাদের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো চলছে। আর্যরা সপরিবারে উপস্থিত হয়েছে সেখানে, পাশাপাশি পাড়ার লোকেরাও আছে। সবাই অপর্ণার সঙ্গে আর্যর বিয়ে নিয়ে খুব উৎসাহী, তারা এক সপ্তাহ ধরে আনন্দ করতে চান।
পাড়ার সব মহিলারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ছোট থেকে অপুকে তারা কোলেপিঠে করে মানুষ করেছেন। এতবার বিয়ে ভেঙে যাওয়াতে তাদের মোটেই ভালো লাগছে না, তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপর্ণাকে আর্যর সঙ্গে সংসার শুরু করতে দেখতে চায় তারা। বিয়ের দিনক্ষণ নিয়ে কথা উঠতেই রাজলক্ষ্মী বলেন, তিনি পারলে আজই বিয়ে দিয়ে দেন।

অপর্ণার মত জানতে চাওয়া হলে সে কিচ্ছু বলে না। চুপ থাকতে দেখে পাড়ার মহিলারা বলেন, অপু রাজি কিন্তু লজ্জায় হয়তো কিছু বলতে পারছে না। তবে, রাজলক্ষ্মী অপর্ণার চুপ থাকার কারণটা বুঝতে পারেন। আর্য এদিকে বলে, তাড়াহুড়ো করে সে অপর্ণাকে বিয়ে করতে চায় না। অপর্ণাও জানায়, স্নাতকের রেজাল্ট না পাওয়া পর্যন্ত সে বিয়ে করবে না।
পুজো শেষে হলে অপর্ণা সবাইকে প্রসাদ বিতরণ করছে। রুম্পা আর সন্তু বুঝতে পারছে যে অপর্ণা আর্যর একান্তে কথা বলা দরকার, সেই মতো সন্তু আর্যকে বলে শেফালী মাসীর বাড়ি অপর্ণা তাকে ডাকছে। আর রুম্পা অপর্ণাকে বলে শেফালী মাসী দেখা করতে চেয়েছে। তারপর দু’জনকে এক ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়া তারা।
অপর্ণা আর্যর সঙ্গে কিছু একান্ত মুহূর্তের পর, হঠাৎ জড়িয়ে ধরে কেঁদে ওঠে। মনের দ্বিধায় সে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর্যকে অপর্ণা প্রশ্ন করে, সে কার প্রেমিকা, আর্য না শঙ্কর? আর্য বলে, এর উত্তর দিলে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে। তবুও অপর্ণা সব সত্যিটা শুনতে চায়। অন্যদিকে কিঙ্কর পাগলের মতো প্রলাপ বলতে শুরু করেছে চিন্তায়।
আরও পড়ুনঃ ” বাবার চোখে আমি এখনও ছোট, বাবা এখনও আমাকে প্রকাশ্যে বকেন!”— টলিকুইন হলেও ‘বাবার মেয়ে’ই থেকে গেছেন কোয়েল! কফি হাউসের সেই দৃশ্যে বাবার প্রতিক্রিয়া ভোলেননি মেয়ে! জানেন সেদিন কীভাবে লজ্জায় পড়েছিলেন তিনি?
কিঙ্করের হাত-পা ভয়ে ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে যে, আর্য অপর্ণাকে হাজার চেষ্টা করেও আলাদা করতে পারল না। এবার যদি দু’জনে এক হয়ে যায়, তবে অপর্ণা এতদিনের চেপে রাখা সত্যিই ঠিক বের করে ফেলবে। বিয়ে ভাঙবেই অঙ্গীকার করে কিঙ্কর। হঠাৎ তারা সুন্দরী মা এসে তাকে বলেন, অপর্ণাই আর্যর ভবিতব্য আর সেই লেখা পাল্টানোর ক্ষমতা কিঙ্করের নেই!