জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“ভিলেনদেরও বেশি ভালো লাগে এই কুসুমের সামনে!” “ওদের কাজে যুক্তি আছে, এই চরিত্রটাতে সেটাও নেই, পুরো বেখাপ্পা!”— লক্ষ্মীপুজোতে অবিবাহিত হয়েও আয়ুষ্মানের জন্য সধবাদের ব্রত পালনে, ফের সমাজ মাধ্যমের রোষের মুখে কুসুম!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কুসুম’-এর (Kusum) সাম্প্রতিক পর্ব আর নতুন প্রোমো নিয়ে দর্শকমহলে যেমন কৌতূহল বেড়েছে, তেমনই শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক আর ঠাট্টাও। লক্ষ্মীপুজোর প্রোমোতে কুসুমকে দেখা যাচ্ছে, আয়ুষ্মানের স্ত্রী হিসেবে গাঙ্গুলী বাড়ির গৃহবধূদের সঙ্গে উপোস করতে চাইছে সে! যদিও সে এখনও কারোর সঙ্গেই আইনি বা সামাজিকভাবে বিবাহিত নয়। এই দৃশ্যকে কেন্দ্র করে অনেকেই সমাজ মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন, “একজন কাজের মেয়ে কেন এমন ‘বউ সাজা’র চেষ্টা করছে?”

অনেকের চোখে বিষয়টা যেমন অতিনাটকীয়, তেমনই ‘ঢং’ বলেও ঠাট্টা-তামাশা শুরু হয়েছে। এই প্রোমোতে গিন্নি মা, অর্থাৎ আয়ুষ্মানের মা যখন কুসুমকে বলেন, “তুমি তো বিবাহিত নও, স্ত্রীরাই আজকে স্বামীদের খাওয়ার বানায়”, তখনও কুসুমের মুখের অভিব্যক্তি থেকে স্পষ্ট, সে মনে মনে নিজেকে আয়ুষ্মানের স্ত্রী বলেই ভাবছে। এখানেই অনেক দর্শকের বিরক্তি! তাদের মতে, কুসুমের এই একতরফা অনুভব বা বিশ্বাস যেন জোর করে একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মতোই লাগছে।

একাধিক মন্তব্যে মানুষ বলছেন, “এই মেয়েটার লোভটাই বড়, বড়লোক বাড়ির বউ হতেই হবে যেন।” এমনকি কেউ কেউ লিখেছেন, “ভিলেনদের কাজেও বেশি যুক্তি আছে, কুসুমের চরিত্রটাতে সেটাও নেই, পুরো বেখাপ্পা।” তবে, কুসুমের এমন একরোখা বিশ্বাসকে কেউ কেউ আবার একধরনের মানসিক সংকট বলেই ব্যাখ্যা করছেন। যেমন শুটিংয়ের সময় সিঁদুর পরা বা শাঁখা-পলা পরা নিয়েই ধন্দ তৈরি হয়েছিল। কুসুম মনে করেছিল, এটাই তার জীবনের বাস্তব, যদিও তা কেবল ক্যামেরার সামনের অভিনয়।

এমন ভুল-বোঝাবুঝির ফলেই তার আচরণে তৈরি হচ্ছে অস্বাভাবিকতা যা আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের ভাবনার সঙ্গে মেলে না বলেই ধরা পড়ছে। আবার অনেকে বলছেন, এই ধারাবাহিক যত এগোচ্ছে, ততই কুসুমের চরিত্রটা ‘ন্যাকা’ রূপ নিচ্ছে। বয়স অনুযায়ী যে পরিণত ভাব থাকা উচিত, সেটা যেন হারিয়ে যাচ্ছে অদ্ভুত আবেগের ভেতর। কেউ কেউ কটাক্ষ করে লিখেছেন, “এই বয়সে আমাদের মা পড়ার টেবিল থেকে উঠতে দিত না, আর কুসুম সিঁদুর পরা নিয়ে নাটক করছে!”

এই ধরনের মন্তব্যের মধ্য দিয়ে পরিষ্কার, একদল দর্শক কুসুমের চরিত্রটাকে আর গ্রহণ করতে পারছেন না, বরং বিরক্তি প্রকাশ করছেন প্রকাশ্যেই। তবু ধারাবাহিকের নির্মাতারা হয়তো জানেন, বিতর্কও একধরনের প্রচার। আর কুসুমের মতো চরিত্রগুলোই এই ধরনের আলোচনার কেন্দ্রে থাকে বেশি। তাই যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা তার জেদের প্রশংসা করছেন। আর যাঁরা বিরক্ত, তাঁরা তার ‘স্বপ্নবিলাসিতা’ দেখে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। বাস্তবে হয়তো এই ধারাবাহিকের এটাই সবচেয়ে বড় শক্তি!

Piya Chanda