জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

মায়ের সঙ্গে এটাই আমার জীবনের প্রথম ছবি আপলোড! জোয়ার ভাঁটা’র ভানু নয়, এবার বাস্তব জীবনের নায়ক রোনক খান! মাকে নিয়ে প্রথমবার ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এ, এসে আবেগে ভাসলেন অভিনেতা ! কেমন লাগে এই অভিনেতাকে?

টেলিভিশনের পর্দায় প্রতিদিন অসংখ্য মুখ দেখা যায়, কিন্তু কিছু মুখ দর্শকের মনে জায়গা করে নেয় খুব অল্প সময়েই। ‘জোয়ার ভাঁটা’-র ভানু সেই রকমই এক চরিত্র। জনপ্রিয় অভিনেতা রোনক খান এই চরিত্রের মাধ্যমে আবারও প্রমাণ করেছেন, ভালো অভিনয় কখনও চরিত্রের দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে না। সম্প্রতি তাঁকে দেখা গেল একেবারে ভিন্ন মঞ্চে—মা-কে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হলেন জি বাংলার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এ।

অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পেছনে ছিল একটিই উদ্দেশ্য—মায়ের মুখে হাসি ফোটানো। রোনকের মা নাকি প্রতিদিন নিয়ম করে দেখেন ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’। তাই এই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ যখন আসে, তখন রোনকের কাছে সেটি কেবল একটি শো নয়, বরং মায়ের স্বপ্নপূরণ। অভিনেতা জানিয়েছেন, মায়ের মুখে আনন্দের ঝিলিকই তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর মঞ্চে মা-ছেলের উপস্থিতিতে দর্শকরাও আবেগাপ্লুত হন। রোনক বলেন, “এই অনুষ্ঠানে আসাটা আমার মায়ের জন্যই। মা প্রতিদিনই দেখেন এই অনুষ্ঠান, তাই ভাবলাম একবার ওনাকেও এই অভিজ্ঞতা দিই।” অনুষ্ঠান চলাকালীন রোনক ও তাঁর মায়ের মধ্যে যে বন্ধন ফুটে উঠেছিল, তা সত্যিই ছিল হৃদয়ছোঁয়া।

সম্প্রচারের আগে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে মায়ের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেন রোনক। ক্যাপশনে লেখেন, “সম্ভবত এটাই মায়ের সঙ্গে আমার প্রথম ছবি আপলোড। এটা আমার জীবনের এক বিশেষ জয়।” পাশাপাশি তিনি আরও লেখেন, “‘জোয়ার ভাঁটা’ যে এত কম সময়ে আমাকে এত কিছু দেবে, ভাবিনি। ‘ভানু’ চরিত্রের জন্য কৃতজ্ঞ আমার পরিচালক ও সহ-অভিনেতাদের প্রতি।”

যদিও ‘জোয়ার ভাঁটা’-তে রোনকের চরিত্রটি মূল নয়, কিন্তু দর্শক ইতিমধ্যেই তাঁকে ভালোবেসে নিয়েছেন। শ্রুতি দাসের সঙ্গে তাঁর অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। নিজের কেরিয়ারের এই পর্যায়ে এসে রোনক মনে করেন, চরিত্র যত ছোটই হোক, নিষ্ঠা থাকলে সেটিও দর্শকের মনে দাগ কাটতে পারে।

শেষে রোনক বলেন, “যখনই কাজে বেরোই, দেখি মা দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন। ওনার আশীর্বাদই আমার শক্তি।” তাঁর কাছে এই পর্ব শুধু টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠান নয়, বরং মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার প্রকাশ। তাই তিনি নিজের কথাতেই শেষ করেন—“এই জয় চলুক অবিরাম।”

Piya Chanda