স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরসখা’ (Chiroshokha) এখন দর্শকমহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, বহু বছরের গভীর বন্ধুত্বের পর অবশেষে স্বতন্ত্র ও কমলিনীর সম্পর্কে নতুন মোড় এসেছে—তাঁদের বিয়ের মধ্য দিয়ে। অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায় আর অপরাজিতা ঘোষ দাসের (Aparajita Ghosh Das) অনস্ক্রিন এই সম্পর্ক একদিকে যেমন কিছু দর্শকদের আনন্দে দিয়েছে, অন্যদিকে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—এই পরিণতি কি সত্যিই দরকার ছিল?
প্রসঙ্গত, অপরাজিতা ঘোষ দাস অভিনীত ‘কমলিনী’ চরিত্রটি শুরু থেকেই দর্শকদের প্রিয়। জীবনের নানা না-পাওয়া ও প্রতিকূলতার মধ্যেও সে যেভাবে দৃঢ়তা ও ভালোবাসা দিয়ে সংসার টিকিয়ে রাখে, তাতে তাঁর চরিত্রের গভীরতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কমলিনীর এই দৃঢ় মানসিকতা ও সহানুভূতির মিশেলই তাঁকে ধারাবাহিকের অন্যতম শক্তিশালী নারী চরিত্রে পরিণত করেছে। বাস্তব জীবনে অপরাজিতার জীবনও কম সাফল্যমণ্ডিত নয়।
টলিউডের পরিচিত পাওয়ার কাপল বা জুটি হিসেবে তিনি এবং তাঁর স্বামী ‘ঋত্বিক চক্রবর্তী’ (Ritwick Chakraborty) দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে আছেন। ২০১১ সালের ২৪ এপ্রিল তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, এবং বর্তমানে তাঁদের একটি সুন্দর পুত্রসন্তানও রয়েছে। অভিনয়জগৎ আর পারিবারিক জীবনের ভারসাম্য তিনি যেমন দক্ষতায় বজায় রেখেছেন, তেমনই কমলিনীর মতো তিনিও বাস্তব জীবনে শক্ত, সংযমী এবং অনুপ্রেরণাদায়ী নারী। তবে, এতগুলো বছর একসঙ্গে থাকার পরেও কি মতবিরোধ হয় না?
সম্প্রতি এই নিয়ে অপরাজিতাকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন,”ঋত্বিকের সঙ্গে আমার সম্পর্কের ভিত্তিটাই হচ্ছে বন্ধুত্ব। স্বামী–স্ত্রীর থেকেও আমরা বেশি বন্ধু। সেটা অনেক বছর আগেও ছিলাম, আজকেও আছি। এই মানুষটার সঙ্গে ২৪ ঘন্টা থাকার পরে মনে হয়, আরও ২৪ ঘন্টা এর সঙ্গেই থাকতে চাই আর এর সঙ্গেই বুড়ো হতে চাই। একটা মানুষের সঙ্গে এতটা সময় থাকলে মতবিরোধ হওয়াটা খুব স্বাভাবিক, আর একটা স্বাস্থ্যকর সম্পর্কের জন্য সেটা জরুরী।
আরও পড়ুনঃ ‘বৌমা নয় আমি তোমার মেয়ে ছিলাম!’ শ্বশুরবাড়িতে শাশুড়ির প্রাধান্যেই তিনি হয়ে ওঠেন ‘গায়িকা জোজো!’ দ্বিতীয়বার মাকে হারিয়ে ভেঙে পড়লেন গায়িকা
তবে, নিজেরা নিজেদের মতকে তুলে ধরতে পারছি কিনা ঠিক ভাবে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। অনেক সময় এই মতবিরোধ অনেকক্ষণ চলে, আবার কখনও এক বাক্যেই দু’জন দু’জনের কথা মেনে নিই।” অভিনেত্রীর মতে, মতবিরোধ কোনও সম্পর্কের দুর্বলতা নয়, বরং তা বোঝাপড়াকে আরও গভীর করে তোলে। কারণ, একে অপরের মতকে সম্মান জানিয়েই তো গড়ে ওঠে এক পরিণত ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক। আপনাদের কী মতামত?জানাতে ভুলবেন না কিন্তু!
