জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

পরীক্ষার মাঝেই ভূমিকম্পের নাটক, অভ্যুদয়ের পরিকল্পনায় সংকটে সবার ভবিষ্যৎ! পারুল-রায়ানের সততায় ফের শুরু হল পরীক্ষা, রক্ষা পেল ইউনিভার্সিটির মর্যাদা!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, ইউনিভার্সিটির বাইরে সবাই আলোচনা করছে পরীক্ষা নিয়ে। শিরীনের বন্ধুরা খুবই চিন্তায়, কারণ তারা কেউ পড়াশোনা করে আসেনি। সবাই চাইছে যেন কোনোভাবে পরীক্ষাটা না হয়। কিন্তু পারুল আর রায়ানের প্রস্তুতি দেখে, সবাই ভয়ে আছে যদি ওরাই ধরিয়ে দেয় কিছু করতে গেলে।

শিরীনের বন্ধুদের মধ্যে অভ্যুদয় ফন্দী এঁটেছে যে, পরীক্ষা শুরু হলেও কিছুক্ষনের মধ্যে ভূমিকম্পের নাটক করবে। তারপর উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হলে সবাই পালিয়ে যাবে আর পরীক্ষা হবে না। এই বুদ্ধিতে পারুলের কিছু বন্ধুও অভ্যুদয়দের সঙ্গে যোগ দেয়। এরপর যথারীতি সবাই ক্লাস রুমে জড়ো হয় এবং পলিক্ষার জন্য শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি করে নেয়।

শিক্ষকের আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য পারুল নমস্কার করতেই, রায়ানও স্যারকে নমস্কার করে ফেলে একটা। সে মনে মনে ভাবে, পারুল যদি বেশি আশীর্বাদ পেয়ে পরীক্ষায় সেরা হয়ে যায়! এরপর পারুল জোর করে ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করতে থাকে যে, মাকে কাছে পেয়েও পাইনি তাই ঠাকুর যেন তার হয়ে মায়ের কাছে আশীর্বাদ চেয়ে নেয়।

রায়ান আবার ভাবতে থাকে, পারুল এত ঠাকুর প্রণাম করছে তারও করা উচিত। তাই সেও প্রণাম করে, এরপর পরীক্ষা শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর সবাই ভূমিকম্প হচ্ছে বলে পালিয়ে যায়, তবু পারুল একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে। পরিস্থিতি শান্ত করে পারুল রায়ান আর স্যারকে বোঝায়, এই ভূমিকম্প মানুষের তৈরি। পরীক্ষা না দেওয়ার জন্য এইসব ফন্দি এঁটেছে ফাঁকিবাজরা।

স্যার ভীষণ রেগে যান, পারুল গিয়ে অভ্যুদয়ের গালে একটা চড় বসিয়ে দেয়। সারা বছর তারা যে প্রস্তুতি করেছে, অভ্যুদয়দের জন্য সেটা জলে যেতে বসেছিল আর ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন ছেলে খেলা কিছুতেই পারুল মেনে নেবে না। ইউনিভার্সিটির উপাচার্য এসে সবাইকে শান্ত করে শাস্তি দেয় যে, এই একই প্রশ্নপত্রে সবাইকে আবার পরীক্ষা দিতে হবে।

যেহেতু এইসব কিছুর পেছনে অভ্যুদয় রয়েছে, তাই সে একা পরীক্ষা দেবে অন্য ঘরে। তারপর আবার পরীক্ষা শুরু হয়, পারুল আর রায়ান পাল্লা দিয়ে লিখতে থাকে। অন্যদিকে, ফাঁকিবাজ গুলো বসে বসেই পরীক্ষার সময় কাটিয়ে ফেলে। পরীক্ষা শেষে কেউ বলে পাশ করে যাব, আবার কেউ বলে, তাদের খাতা দিয়ে ঠোঙাও বানানো যাবে না!

Piya Chanda