জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘নূপুরের দাম হাজার হলেও পায়ে…টিপের দাম এক টাকা’ ফের উত্তাপ দিতিপ্রিয়া-জিতু সমীকরণে! দিতিপ্রিয়া পুরস্কার হাতে নিতেই জিতুর কাব্যিক পোস্ট! পরোক্ষ খোঁচা নাকি নিছক কাকতালীয়? দু’জনের ঠান্ডা লড়াই কি আবার প্রকাশ্যে?

টেলিভিশনের পর্দায় তাদের রসায়ন যতই জনপ্রিয় হোক, বাস্তব জীবনে দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy) আর জিতু কমলের (Jeetu Kamal) সম্পর্ক যে আগের মতো নেই, এই কথাটা নতুন কিছু নয়। বহুদিন ধরেই তাদের মধ্যে অস্বস্তির হাওয়া বইছে আর মাঝে মাঝে যা সমাজ মাধ্যমেও ছাপ ফেলেছে। কিন্তু ‘টেলি অ্যাকাডেমি’-তে দিতিপ্রিয়া একাই যখন ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের জন্য ‘প্রিয় মেয়ে’ পুরস্কার জিতে নিলেন আর ঠিক সেই সময়েই জিতুর টাইমলাইনে ভেসে উঠল এক ইঙ্গিতবাহী পোস্ট!

একে ঘিরেই ফের স্বাভাবিকভাবেই আবার গরম হয়ে উঠল সমীকরণের বাতাস। কিন্তু কী লেখা ছিল সেটায়? প্রসঙ্গত, দিতিপ্রিয়া পুরস্কার হাতে এদিন ছিলেন একেবারে উজ্জ্বল, হালকা সাজে আর সবুজ শাড়িতে সদা হাসিমুখে। সাম্প্রতিক বিতর্ক যে তাকে বিশেষ ব্যতিব্যস্ত করেনি, তা উপস্থিত সবাই টের পেয়েছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্ন যেমন আসে তেমনই তিনি সঙ্কোচহীনভাবে প্রোডাকশন থেকে চ্যানেল, পরিবার আর দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু সর্বশেষে যখন জিতুকে নিয়ে প্রশ্ন ছোড়া হল, তিনি কেবল একটি মিষ্টি হাসি দিয়ে বললেন, “নো কমেন্টস।”

এই দুই শব্দেই যেন আবার পুরোনো ঠান্ডা লড়াই ফের শুরু হওয়ার ইঙ্গিত। এই ‘নো কমেন্টস’-এর ঠিক কিছুক্ষণ পরেই জিতুর ওই কবিতার মতো পোস্ট প্রকাশ্যে আসে। আর এখানেই শুরু জল্পনা, এটি কি কারও উদ্দেশে লেখা? সেখানে জিতু লেখেন, “নূপুরের দাম হাজার টাকা হলেও তার স্থান পা এ। আর, টিপের দাম এক টাকা হলেও তার স্থান মাথায়।” দিতিপ্রিয়া পুরস্কার পাওয়ার পরেই কেন এমন ‘অর্থবহ’ লাইন? অনেকের মতে এটা যেন পুরনো টানাপড়েনের আরও একটি সূক্ষ্ম অধ্যায়। আবার কেউ কেউ বলছেন, এইসব নিছকই কাকতালীয়, জিতুর ব্যক্তিগত ভাবনা মাত্র।

তবে সমাজ মাধ্যমে আগুন স্বাভাবিকভাবেই এমন ব্যাখ্যায় থেমে থাকে না। গত কয়েক মাসে দু’জনকে ঘিরে যে বিতর্কগুলো উঠে এসেছে– জিতুর অসুস্থতা, শুটিং সেটে অস্বস্তির অভিযোগ, দিতিপ্রিয়ার অভিযোগ আবার মিটমাট, সব মিলিয়ে সমীকরণটা বরাবরই টানটান। তাই নতুন করে এমন পোস্ট দেখলে দর্শকের নজর সেদিকেই ঘুরবে, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। জিতু বরাবরই স্পষ্টবাদী পোস্ট করেন, কিন্তু এই সময়টা দিতিপ্রিয়া পুরস্কার পাওয়ামাত্র বলে অনেককেই ভাবাচ্ছে।

দিতিপ্রিয়া যেভাবে অনুষ্ঠানে নিজেকে সামলে রেখেছেন, তাতে বোঝা যায় তিনি আর কোনও বিতর্কে জড়াতে চান না। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতিটা যেন এক অদৃশ্য অপেক্ষার দোলাচল। কেউ মুখে কিছু না বললেও, দর্শক থেকে সহকর্মী, সবার মনে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে যে এবার কে আগে নীরবতা ভাঙবে? দিতিপ্রিয়া আপাতত নিজেকে কাজ আর সাফল্যের ভেতরেই ব্যস্ত রাখতে চাইছেন আর জিতুর কবিতার মতো ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টগুলো যেন কথার চেয়ে বেশি কথা বলে দিচ্ছে। তবে, ঠান্ডা লড়াই কি আবার সামনে চলে এল?

Piya Chanda