পাঞ্জাবের বিনয়ী ছেলে থেকে বলিউডের “হি-ম্যান” হয়ে ওঠা ধর্মেন্দ্র এক অনন্য প্রতিভার অধিকারী। দীর্ঘ দশক ধরে সিনেমার পর্দায় তিনি আমাদের আনন্দ ও উত্তেজনা উপহার দিয়েছেন। রোমান্টিক ক্লাসিক সিনেমা থেকে অ্যাকশন সিনেমা সবকিছুতেই দর্শক তাকে দেখতে পেয়েছেন। ‘শোলে’ (১৯৭৫) থেকে শুরু করে ‘ইয়াদোঁ কি বারাত’ (১৯৭৩), ‘সীতা অর গীতা’ (১৯৭২), ‘বন্দিনী’ (১৯৬৩), ‘বয়ফ্রেন্ড’ (১৯৬১), ‘ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা’ (২০১১), ‘ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা ২’ (২০১৩) একাধিক চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত এই চলচ্চিত্র গুলো ধর্মেন্দ্রকে ভারতের সবচেয়ে প্রিয় অভিনেতাদের একজন করে তুলেছে।
ধর্মেন্দ্র শুধু সিনেমার পর্দায় নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নিজের অনন্য অবদান রেখেছেন। তাঁর অভিনয় প্রতিভা ও দৃঢ় ব্যক্তিত্ব তাঁকে বলিউডে এক চিরজীবী কিং ধর্মেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ফ্যানরা তাঁকে এক প্রতীকী ব্যক্তিত্ব হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং তার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আজও অটুট।
ধর্মেন্দ্র আর আমাদের মাঝে নেই। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পরিবার এবং ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চিকিৎসা সর্বোচ্চ পর্যায়ে করা হয়েছিল এবং সকল প্রয়োজনীয় নেওয়ার পরেও কিংবদন্তি আজ আর আমাদের মধ্যে নেই।
ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন। বলিউডের কিং ধর্মেন্দ্রের চলে যাওয়া শুধু সিনেমা জগতের নয়, সমস্ত বিনোদন জগতের ভক্তদের জন্য এক বড় শোক। তাঁর অবদান, এবং সিনেমার প্রতি ভালবাসা চিরকাল স্মৃতিতে থাকবে।
আরও পড়ুনঃ দ্বন্দ্বে ইতি! ‘শারীরিক-মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি’— চিরদিনই তুমি যে আমার ধারাবাহিক ছাড়লেন অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া! এবার কি তবে বন্ধ হতে চলেছে ধারাবাহিক?
ধর্মেন্দ্রের স্মৃতিকে আমরা চিরকাল মনে রাখব। তাঁর সিনেমা, অনবদ্য অভিনয় এবং বলিউডের প্রতি অনন্য অবদান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে থাকবে। ফ্যানরা আশা করছেন, তাঁর স্মৃতি চিরকাল জীবন্ত থাকবে এবং নতুন প্রজন্মকে তার সিনেমার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করবে।
